চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ গত ৪ ঠা সেপ্টেম্বর কসবা এলাকার সিলভার পয়েন্ট হাই স্কুল নামে একটি বেসরকারী বিদ্যালয়ের পাঁচ তলা থেকে পড়ে দশম শ্রেণীর ছাত্র শেখ শানের মৃত্যু হয়েছিল। এই ঘটনায় শানের বাবা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মানসিক চাপ সৃষ্টি করার অভিযোগ তুলেছিল।
কিন্তু বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি নোটিশ দিয়ে জানান, ‘‘পড়ুয়াদের নিরাপত্তাই অগ্রাধিকার পাবে। আপাতত নোটিশ না দেওয়া অবধি অনির্দিষ্ট কালের জন্য বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। জল্পনার ভিত্তিতে বিদ্যালয়কে খারাপ ভাবে দেখানো হচ্ছে। একটি পরিবার হিসাবে তাঁর শোকগ্রস্ত।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereএদিন অভিভাবকেরা সন্তানদের বিদ্যালয়ে পৌঁছে দিতে গিয়ে দেখেন, মূল ফটকে এই নোটিশ ঝোলানো আছে। যেখানে প্রিন্সিপালের স্বাক্ষরও রয়েছে। তবে শিক্ষাবর্ষের মাঝপথে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে অভিভাবকরা সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereউল্লেখ্য, মৃত পড়ুয়ার বাবা শেখ পাপ্পু অভিযোগ করেছিলেন, ‘‘একটি প্রজেক্ট জমা দিতে পারেনি বলে বকাবকি করা হয়েছিল। আবার সবার সামনে কান ধরে দাঁড় করিয়েও রাখানোয় অপমানিত বোধ করেছিল।’’ কিন্তু শান পাঁচ তলায় পৌঁছালো কিভাবে তা নিয়ে বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereএছাড়া অভিযোগ করেছিলেন যে, ‘‘আগে থেকেই বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের ক্ষোভ ছিল। কারণ করোনা আবহে বিদ্যালয়ে বেতন কমানো হচ্ছিল না বলে আমি অন্য অভিভাবকদের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একত্রিত করেছিলাম। অভিভাবকদের চাপে ৩৩ শতাংশ বেতন কমানো হয়েছিল। তখন প্রধানশিক্ষিকা বলেছিলেন, ‘আপনাকে চিহ্নিত করে রাখা হলো’।
তখনই মনে হয়েছিল শানের ক্ষতি করবে। আমার ধারণা, বিদ্যালয়ে ওকে মারধর করে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।’’ এমনকি এই ঘটনায় বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের বয়ানেও অসঙ্গতি রয়েছে বলে দাবী করেছিলেন। পাপ্পুবাবু এই ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক, সহকারী প্রধানশিক্ষক সহ দুই জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তার অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা ও ১২০বি অনুযায়ী খুনের মামলা রুজু করেন।