নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বর্ধমানঃ গতকাল পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানা চত্বরে থানার সামনেই ১ জন ব্যক্তি গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করলো। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল ছড়িয়ে পড়ে। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় ওই অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আহত ব্যক্তির নাম সুশান্ত দত্ত। পেশায় হোটেল ব্যবসায়ী।

জানা যায়, প্রায় আট বছর আগে সুশান্তবাবু কুলচন্ডা মৌজায় ৯৯৩ দাগ নম্বরে ১ একর ৭৩ শতক আয়তনের এই পুকুরটি একটি পরিবারের কাছ থেকে কিনেছিলেন। এরপর তাদের নামে রেকর্ড পরিবর্তনও হয়ে গিয়েছিল। আর পুকুর কেনার পর ২০১৯ সালে সুশান্তবাবু পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেন। কিন্তু পরে ওই পুকুরের মালিকানা নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল। এমনকি কিছু এলাকাবাসী সন্তোষের নামে থাকা ওই পুকুরটি খাস জমিতে দাবী করে কলকাতা উচ্চ আদালতে মামলা করেন। তারপর থেকে সুশান্তবাবুর ওই পুকুরের উপর দখল ছিল না।

- Sponsored -
সম্প্রতি কলকাতা উচ্চ আদালত থেকে সম্প্রতি জেলাশাসককে ওই পুকুর নিয়ে জটিলতার বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই জেলাশাসক গত ২৭ শে ফেব্রুয়ারী ও গত ৩ রা মার্চ দু’দফায় শুনানিতে ডাকেন। সর্বশেষ শুনানির পর জেলাশাসক কেসটি খারিজ করে দেন এবং ওই পুকুরের মালিকানা সুশান্ত দত্তর নয় বলে জানানো হয়। আর সেই থেকে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তারপরই এদিন সুশান্তবাবু ‘বাজারে যাচ্ছি’ বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে থানার গেটের কাছে নিরবিলি জায়গা দেখে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
যখন সারা শরীর যখন দাউদাউ করে পুড়ছিল, তখনই ভাতার থানার পুলিশ কর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ররা দ্রুত থানা থেকে কম্বল বের করে চাপা দিয়ে আগুন নেভান। এরপর বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সুশান্তবাবুর অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে গ্রিন করিডোর করে এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারে ভর্তি করা হয়। পাশাপাশি পুলিশ এই আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় একটি মামলা রুজু করেছেন।