নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ঝাড়খণ্ডঃ রবিবার রাজ্যে পুলিশে নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। সেই পরীক্ষায় একের পর এক জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। আর সেই পরীক্ষার জালিয়াতি চক্রের হদিশ মিলল ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে। একটি হোটেলের মালিক সহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের ধানবাদ আদালতে তোলা হয়েছে। অভিযোগ, ধৃতরা ঝাড়খণ্ডে বসে প্রশ্নপত্র ও উত্তর সাজিয়ে পরীক্ষায় কারচুপি চালানোর চেষ্টা হচ্ছিল।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, পুলিশ ঝাড়খণ্ডের ঝরিয়ার একটি লজে হানা দেয়। সেখানে গিয়ে উদ্ধার করা হয় বিপুল সংখ্যক অ্যাডমিট কার্ড, প্রশ্ন-উত্তরের নোট, রেজিস্টার, মোবাইল ফোন, স্মার্ট ঘড়ি, বিভিন্ন এডুকেশন সার্টিফিকেট, পরিচয়পত্র, ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত নথি-সহ অসংখ্য কাগজপত্র। পুলিশ জানিয়েছে, র্যাকেটের সদস্যরা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে পরীক্ষার্থীদের এনে হোটেলে রেখেছিল। নদিয়া, বীরভূম, রানাঘাট, চাকদহ, হাঁসখালি থেকে একাধিক পরীক্ষার্থীকে নিয়ে গিয়ে ওই লজে রাখা হয়েছিল। তাদের পরীক্ষার আগেই উত্তরপত্র তৈরি করানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ।

এই অভিযানে মোট ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে ১৬ জনই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা, একজন ঝাড়খণ্ডের ধনবাদ জেলার। লজের রেজিস্টার খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পারে ওই লজে ১০০-রও বেশি পরীক্ষার্থীকে নাম নথিভুক্ত করে রাখা হয়েছিল। অভিযুক্ত লজ মালিককেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ধানবাদ সিটির পুলিশ সুপার ঋত্বিক শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে এবং তারা এসে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এই র্যাকেটের সঙ্গে কারা কারা যুক্ত, কতদিন ধরে এই চক্র সক্রিয় সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
ধানবাদের পুলিশ সুপার জানান, ধৃতরা গত কয়েকদিন ধরে ঝরিয়াতে একটি লজে থাকছিল। পরীক্ষার্থীদের একটি জায়গায় জড় করে তাদের অ্যাডমিট কার্ড এবং মোবাইল ফোন আগেই নিয়ে নেওয়া হয়েছিল। পুলিশ প্রায় ২৭২ জন প্রার্থীর অ্যাডমিট কার্ড, ৬৭টি মোবাইল ফোন এবং কিছু রেজিস্টার বাজেয়াপ্ত করে। জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে যে, পরীক্ষার্থী পিছু ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকার চুক্তি করা হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কনস্টেবলের ওই পরীক্ষা ভুয়ো ছিল নাকি, আসল প্রশ্নপত্র এনে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল তা খতিয়ে দেখতে রাজ্য পুলিশের এক টিম ধানবাদ পৌঁছয়।










