অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ আজ ভোররাতে বড়বাজারের নাখোদা মসজিদের কাছে একটি প্লাস্টিকের গুদামে আগুন লাগে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয়েরা বেরিয়ে এসে দ্রুত দমকল বিভাগকে খবর দিলে দমকল কর্মীরা খবর পেয়ে প্রথমে দমকলের সাতটি ইঞ্জিন নিয়ে ঘটনাস্থলে আসে।
কিন্তু ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে বেশ খানিকটা বেগ পেতে হয়। তবে গুদামে দাহ্য পদার্থ ও প্লাস্টিকের সামগ্রী থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে যাওয়ায় পরে আরো আটটি ইঞ্জিন আগুন নেভাতে নিয়ে আসা হয়। আর যে গুদামে আগুন লেগেছে, দমকলের ইঞ্জিন সেখানে পৌঁছাতে না পারায় দূর থেকেই হোসপাইপের মাধ্যমে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। গুদামের পাশের একটি বহুতলেও আগুন ছড়ায়। এলাকা কালো ধোঁয়ায় ভরে যায়। অনেক দূর থেকেই আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায়।
গুদামের পাশের বহুতল থেকে বাসিন্দাদের উদ্ধার করে বাইরে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা সম্ভব হয়নি। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলর সহ দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছান। দমকল আধিকারিকদের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিটের কারণেই এই অগ্নিকাণ্ড। যদিও তদন্ত না করে নিশ্চিত ভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়। ঘিঞ্জি বসতি এলাকায় এমন একটি গুদাম করার অনুমতি কে দিয়েছে গুদামের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রয়েছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

- Sponsored -
সুজিত বসু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, ‘‘দমকলকর্মীদের ঘণ্টা দুয়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখন কুলিং প্রসেস চলছে। আগুন লেগেছে কিভাবে তা তদন্ত করে দেখতে হবে। আর সবচেয়ে আগে আগুন পুরোপুরি নেভানোই আমাদের লক্ষ্য। এরপর গুদামে কাগজপত্র ঠিকঠাক ছিল কিনা বা অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।’’
আবার উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী তাপস রায় ঘটনাস্থলে এসে এই অগ্নিকাণ্ডের জন্য দমকল এবং পুলিশের দিকেই আঙুল তুলে বলেন, ‘‘এতদিন পুলিশ ও দমকল ব্যবস্থা নেয়নি কেন? সকলকে জবাব দিতে হবে।’’ এদিকে তাপস রায় ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর এবং তাঁর অনুগামীরা তাপসকে দেখে ‘গো ব্যাক’ শ্লোগান দিতে শুরু করেন। ফলে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। কিন্তু পুলিশ পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে।