সিউড়িতে সাংসদ শতাব্দী রায়ের সামনেই দলীয় কর্মীদের মধ্যে চললো তুমুল মারামারি

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বীরভূমঃ বীরভূমের সিউড়ির দু’নম্বর ব্লকে সাংসদ শতাব্দী রায়ের সামনেই তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে মারপিটকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। এই ঘটনায় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে দলেরই কর্মীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে। শতাব্দী রায়ের সামনেই তৃণমূল কর্মীদের দু’পক্ষ একে অপরের ওপর চড়াও হন। একের পর এক কিল-চড়-ঘুষি চলতে থাকে। এর আগে অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীদের সাথে কাজল শেখের অনুগামীদের মধ্যে চরম অশান্তি হয়েছে। একাধিক ঘর-বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়।

এদিন সাংসদ শতাব্দী রায়ের এসআইআরের ক্যাম্প পরিদর্শন করার সময় তাঁর সামনেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ তথা স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি বলরাম বাগদীর ওপর নিজের দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে শতাব্দী রায় বলরাম বাগদীকে গাড়িতে চাপিয়ে এলাকা ছেড়ে বেড়িয়ে যান। এই ঘটনায় বলরাম বাগদীর ভাইও আক্রান্ত হন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তৃণমূলের ওপর গোষ্ঠীর প্রশ্ন, সাংসদ অঞ্চল সভাপতিকে এত গুরুত্ব দেন কেন?

স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের কথায়, “দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে কিছু নেই। সামান্য অশান্তি হয়েছে।” এলাকার তৃণমূল নেতার বক্তব্য, “একটা বড়ো পরিবারে অনেক কিছুই হতে পারে। দাদা-ভাইয়ের মধ্যে অশান্তি হতেই পারে। কিন্তু ওটা মিটে গিয়েছে। ওটা নিয়ে আর কিছু বলার নেই।” এদিকে, শতাব্দী রায় এই মারধরের নেপথ্যে সিপিএম-বিজেপি ঘাড়ে দায় ঠেলে জানান, “যে মারধর করেছেন, সে এবার সিপিএমের বিএলএ ২। তাহলে সে আমাদের কর্মীদের ভিড়ে মিশল কিভাবে? ওই লোকগুলো আধা সিপিএম। তাহলে তো মারামারি হবেই।”


তবে এও বলেন, “গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তো আছেই, থাকবেই। কিন্তু এই লোকগুলো মিশে থাকলে তো এরকম হবেই।” বিজেপির রাজ্য সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে জানালেন, “শতাব্দী রায় যেখানে ভোটের প্রচারে গিয়েছিলেন, সেখানেও বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন। এখন তাঁরই অনুগামীরা নিজেদের মধ্যে মারপিট করেছে।”


Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930