নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হুগলীঃ হাড় হিম করা ঘটনা। গতকাল হুগলীর চন্দননগরের মানকুণ্ডুর আশ্রমপাড়ায় অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকার বাড়িতে দুষ্কৃতীর তাণ্ডবকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোরগোল ছড়িয়ে পড়ে। ৭৫ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধার মুখ বেঁধে দেদার লুটপাট চলে। এখনও অবধি কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রিষড়া বিদ্যাপীঠ গার্লস হাইস্কুলের প্রাক্তন শিক্ষিকা বনানী ভট্টাচার্য বাড়িতে একাই ছিলেন। সেই সময়ে দুই দুষ্কৃতী বাড়িতে ঢোকে। অভিযোগ, বনানীর মুখ চেপে ধরে দুষ্কৃতীরা, বেঁধে দেওয়া হয় হাত। গলা টিপে ধরতে গেলে, তিনি বলেন, ‘যা আছে সব নিয়ে যাও, শুধু প্রাণে মেরো না।’ এর পরেই মুখ কাপড় দিয়ে বেঁধে চলে লুটপাট। হাতে পরা চুরি, হার ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। মেরি রায় নামে এক পড়শি চিৎকার শুনে ছুটে এসে দেখেন বনানীর মুখ বাঁধা। রক্ত বেরোচ্ছে। এরপর বনানীকে উদ্ধার করে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে আতঙ্ক কাটছে না।

বনানী বলেন, ‘‘আমাকে প্রাণেই মেরে ফেলত। গলা টিপে ধরেছিল। ওদের মুখ ঢাকা ছিল, তাই বুঝতে পারিনি কারা।’’ পাশেই ভাড়া থাকেন তাঁর বোন জলি চট্টোপাধ্যায়। অন্য দিন দিদিকে দেখতে এলেও সোমবার আসেননি। অনুষ্ঠান বাড়িতে গিয়েছিলেন। জলি বলেন, ‘‘২০১৯ সালে জামাইবাবু মারা যাওয়ার পর থেকে দিদির সঙ্গে এক পরিচারিকা থাকেন। পরিবার নিয়েই থাকেন তিনি। ঘটনার সময়ে তাঁরা কেউ বাড়িতে ছিলেন না।’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
সুলেখা গাইন নামে ওই পরিচারিকা জানান, ‘‘দশ বছর বয়স থেকে তিনি এখানে। বনানীকে মামি বলে ডাকেন। এখান থেকেই তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের পরে অন্যত্র ভাড়া থাকতেন। আবারও কয়েক বছর হলো পরিবার নিয়ে এখানে থাকছেন। ঘটনার সময়ে অন্য এক বাড়িতে কাজে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখেন এই ঘটনা।’’ চন্দননগর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।










