অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ খগেন মুর্মুর উপর হামলার ঘটনায় আজ বিজেপি কলেজ স্কোয়ার থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিল করল। আর এই মিছিলে দেখা গেল বঙ্গ বিজেপির তাবড় তাবড় নেতাদের। একদিকে , খগেন মুর্মুদের উপর হামলার ঘটনায় শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হলেন তাঁরা। একইসঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়েও রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ করলেন তাঁরা।

বিজেপির আদিবাসী মোর্চার ডাকে এদিনের মিছিলে ছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর পাশে দেখা গেল রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন দুই সভাপতি রাহুল সিনহা ও সুকান্ত মজুমদারকে। মিছিলে ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়-সহ বঙ্গ বিজেপির নেতারা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় স্বাভাবিকভাবেই বঙ্গ বিজেপির বর্তমান সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য মিছিলে থাকেননি।

মিছিলে অনেকের হাতেই আদিবাসীদের চিরাচরিত অস্ত্র দেখা যায়। এমনকি, রাহুল সিনহা, সুকান্ত মজুমদারের হাতেও তির, ধনুক দেখা গিয়েছে। জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর উপর হামলার নিন্দা করে এদিন মিছিল শুরুর আগে সুকান্ত বলেন, “পুলিশকে একমাস সময় দিয়েছি। তার মধ্যে নাগরাকাটার ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার করতে হবে। না হলে বিজেপি ট্রিটমেন্ট করবে। নাগরাকাটার বুকে ট্রিটমেন্ট হবে। বিজেপিকে মেরে ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া যাবে না।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা(SIR) নিয়ে সুকান্ত বলেন, “আমরাও চাই প্রত্যেক বৈধ ভোটারের নাম থাকুক। কিন্তু, যার বাবা-মা-ঠাকুরদার নাম ভোটার লিস্টে নেই। অথচ তার নাম ভোটার লিস্টে উঠে গিয়েছে। এটা কীভাবে হয়েছে? আমি বলছি, ভারতীয় মুসলমানদের নাম ভোটার লিস্টে থাকবে, তাতে তাঁরা আমাদের ভোট দিন আর না দিন। কিন্তু, বাংলাদেশি মুসলমান যাঁরা অনুপ্রবেশ করেছেন, তাঁদের নাম থাকবে না।” ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে এসআইআর হয়ে ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এদিন মিছিল শেষে শুভেন্দু বলেন, “গত বেশ কয়েকমাস ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রাজনৈতিক আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। এই সরকার আদিবাসী বিরোধী। মিছিল শেষ মানে আন্দোলন শুরু। বদলা চাইলে বদল করতে হবে। ছাব্বিশে বদল হলে সুদে আসলে আমরা বদলা নেব।” কালীপুজোর পর আদিবাসী সংগঠনগুলিকে রাস্তায় নামার ডাক দিলেন শুভেন্দু। একইসঙ্গে বলে দিলেন, “বদলও হবে, বদলাও হবে।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here












