মিনাক্ষী দাসঃ উত্তর চব্বিশ পরগণাঃ খসড়া তালিকাতে নাম নেই। এসআইআর প্রক্রিয়ায় শুনানিতে ডাকা হল বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের দুই পুত্রকে। এমনকি, শুনানিতে হাজির হওয়ার জন্য নোটিস পাঠানো হয় তৃণমূল সাংসদের মা ও বোনকে। এই নিয়ে সরব হয়েছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এসআইআর প্রক্রিয়া আদৌ ঠিকভাবে হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্ন তুললেন তিনি। জানা গিয়েছে, সাংসদদের পরিবারের ওই সদস্যরা এদিন বিডিও অফিসে যেতে পারেন।

এসআইআর প্রক্রিয়া তাড়াহুড়ো করে করা হচ্ছে বলে প্রথম থেকেই সরব তৃণমূল। ২ বছরের কাজ কেন ২ মাসে করা হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এসআইআরের খসড়া তালিকা প্রকাশের পর থেকে নানা অসঙ্গতি সামনে আসছে। ডানকুনির পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর সূর্য দে-র নামের পাশে মৃত লেখা। আবার খণ্ডঘোষের তৃণমূল বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগের মা, ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রীকে শুনানিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। এবার শুনানির জন্য ডেকে পাঠানো হল কাকলি ঘোষ দস্তিদারের দুই পুত্র, মা ও বোনকে। কাকলি ২০০৯ সাল থেকে লোকসভার সাংসদ।

কাকলি ঘোষ দস্তিদার এই প্রসঙ্গে জানান, “খসড়া তালিকা দেখতে গিয়ে দেখা যায়, আমার দুই ছেলের নাম নেই। তাদের হিয়ারিংয়ে ডেকে পাঠিয়েছে। তাদের বাবা (রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার) একজন প্রাক্তন মন্ত্রী। আমি চার বারের সাংসদ। দুই পুত্র সরকারী চাকুরে। হিয়ারিংয়ে যাবে। কিন্তু, এসআইআর হচ্ছে কিভাব্ব, তা সহজেই অনুমেয়। প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ, যাদের এত যোগাযোগ নেই, হিয়ারিংয়ে কি চাইছে জানে না, তাদের তো হেনস্থা করা হচ্ছে। জবরদস্তি নাম বাদ দিয়ে বিপদে ফেলার চেষ্টা। আমার মা ও বোন অন্য বুথের ভোটার। তাদেরও নাম নেই।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
তবে ওই বুথের বিএলও কপিল আনন্দ হালদারের বক্তব্য, “সাংসদের পরিবারের সবার নাম রয়েছে খসড়া তালিকা। অন্য কোনও সংশোধনের জন্য হয়তো ডাকা হয়ে থাকতে পারে।” কাকলি ঘোষ দস্তিদারের অভিযোগ নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “হেনস্থা করার হলে তো সাংসদকে ডাকা হত। আর উনি কি মঙ্গল গ্রহ থেকে এসেছেন? এত লোককে ডাকা হয়েছে। আর উনি বলছেন, হেনস্থা করা হচ্ছে।”










