পিঙ্কি পালঃ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণাঃ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত রঘুদেবপুরে কলেজ ছাত্রীকে বিষ খাওয়ানোর অভিযোগকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। এই ঘটনায় প্রতিবেশীরা অভিযুক্তের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এমনকি আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে আবার পুলিশের বিরুগ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন এলাকার লোকজন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চন্দ্রানি নস্কর নামে ওই কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। বিগত কয়েকদিন সেখানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েও শেষ পর্যন্ত জীবনটা চলেই গেল ঠাকুরপুকুর বিবেকানন্দ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রীর। যদিও ঘটনার সূত্রপাত ১ মাস আগে।

ছাত্রীর পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে এলাকার লোকজনের অভিযোগ, দীর্ঘদিন থেকে ওই কলেজ ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিতেন বিশাল নস্কর নামে ওই যুবক। কিন্তু ওই তরুণী কোনওভাবেই তাতে রাজি ছিলেন না। তাতেই রেগে লাল হয়ে যায় বিশাল। প্রায়শই রাস্তা আটকে উত্যক্তও করতো। এরইমধ্যে গত ২৫ নভেম্বর ঘটে যায় ভয়ঙ্কর ঘটনা। ওইদিন রাস্তা আটকে জোর করে পানীয়ের সঙ্গে কীটনাশক খাইয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তরুণী বাড়ি ফিরে মাকে সবটা জানালে দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর থেকেই চলছিল চিকিৎসা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কোলেই ঢোলে পড়লেন তিনি।
এদিকে মৃত্যুর খবর চাউর হতেই এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এলাকার লোকজন ব্য়াপক ভাঙচুর চালান অভিযুক্তের বাড়িতে। ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন। এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। অন্যদিকে ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বিশাল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মৃতার মা নন্দরানি নস্কর বলছেন, “আমার মেয়েটা সেদিন কম্পিউটার ক্লাসে গিয়েছিল। ফেরার পথেই ওই ঘটনা ঘটে। বিশালই কোল্ড ড্রিঙ্কের সঙ্গে ওকে বিষ খাইয়ে দিয়েছিল। ওই ছেলেটা আমার পিছনে অনেকদিন থেকে লেগেছিল। শেষ পর্যন্ত ও সর্বনাশ করে দিল।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here









