নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ঝাড়খণ্ডঃ ঝাড়খণ্ডের একটি গ্রামে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে ২ জন মহিলার মৃত্যু হয়েছে। আর অনেকে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছেন। এই ঘটনায় এলাকাবাসীর সন্দেহ গ্রামে কোনো দূষিত গ্যাস ছড়াচ্ছে। যার প্রতিবাদে আজ ধানবাদ-রাঁচি হাইওয়ে অবরোধ করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধানবাদের কেন্দুয়াডিহ এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, গতকাল ললিতা দেবী নামে এক জন মহিলার মৃত্যু হয়েছিল। আর এদিন হাসপাতালে প্রিয়াঙ্কা দেবী নামে আরো এক জন মহিলার মৃত্যু হয়। এরপরেই এলাকাবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তবে পুলিশ মৃতদেহ দু’টি ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে। কিন্তু এদিন প্রিয়াঙ্কা দেবীর মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই এলাকাবাসীরা ধানবাদ-রাঁচি জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। পাশাপাশি টায়ার পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে অবরোধ চলে। স্থানীয় প্রশাসন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসলে তাদের তরফে দাবী করা হচ্ছে, “এই গ্যাস লিক করছে কেন? কেনই বা এই দু’জন মহিলার মৃত্যু হয়েছে? আর এতজন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কারণ কি তা খুঁজে বের করতে হবে।”

স্থানীয় বাসিন্দা প্রদীপ কুমার ঠাকুরের কথায়, “এদিন সকালবেলা যিনি মারা যান, হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরোতে থাকে। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা জানান, ‘কোনো বিষাক্ত গ্যাসে এই ঘটনা।’ এখনো অবধি প্রায় কুড়ি জন অসুস্থ। এই গ্যাস বেরোনো যদি বন্ধ না হয়, পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠবে।” শেখ মহম্মদ নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, “সব দোষ প্রশাসনের। এই এলাকায় শুধু নোটিশ দেওয়া হয়, প্রশাসন কোনো কাজের কাজ করে না।” প্রাক্তন মেয়র চন্দ্রশেখর আগরওয়াল বলেছেন, “বিসিসিএল একাধিক এলাকা বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করেছে। কিন্তু বিকল্প কোনো জায়গা দিতে পারেনি। দ্রুত এর সমাধান দরকার।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
অন্যদিকে, বিসিসিএল পিবি এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজার জানিয়েছেন, “অনেকদিন ধরেই এই এলাকাকে বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করা হয়েছে। যেকোনো সময়ে আগুন লাগতে পারে। তবে এলাকার লোকজন এলাকা ছেড়ে যেতে চাননি। সমগ্র এলাকা ফাঁকা করে দিলে তবেই এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব।” কেন্দুয়াডিহ থানার ইনচার্জ প্রমোদ পান্ডে জানিয়ে দিয়েছেন, “সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। আর একটিও মৃত্যু কাম্য নয়।”










