নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মহারাষ্ট্রঃ মহারাষ্ট্রের থানে এলাকায় এক মহিলাকে খুন করে খালের ধারে দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছিল। দেহ ফেলার আগে তা স্যুটকেসের মধ্যে ভরা হয়েছিল। ওই মহিলার দেহ উদ্ধার করার পরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক ব্যক্তিকে। ধৃত ব্যক্তি ওই মহিলার লিভ-ইন পার্টনার ছিলেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ। মৃতের নাম প্রিয়াঙ্কা বিশ্বকর্মা। বয়স ২২ বছর। কব্জির কাছে ‘’P V S’ লেখা ট্যাটু আঁকা ছিল।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২১ শে নভেম্বর খুন করা হয়েছিল ওই মহিলাকে। এর পর তাঁর দেহ স্যুটকেসে ভরে খালের পাশে ফেলে দিয়ে আসা হয়েছিল। সোমবার, সেখানকার দেসাই গ্রামের কাছে একটি খালের উপরে থাকা ব্রিজের কাছ থেকে দেহ উদ্ধার হয়। আর মহিলার হাতে থাকা ট্যাটু থেকেই দেহ শনাক্ত করা হয়। এই খুনের ঘটনায় বিনোদ শ্রীনিবাস বিশ্বকর্মাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিনোদ শ্রীনিবাস বিশ্বকর্মার বাড়ি দেসাই এলাকায়।

পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়াতে পাওয়া তথ্য এবং সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পরে বিনোদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর গত পাঁচ বছর ধরে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন বিনোদ। জিজ্ঞাসাবাদে বিনোদ নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে বলেও দাবি পুলিশের। জানা গিয়েছে, গত ২১ তারিখ রাত্রে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে বচসা হয় বিনোদের। তার পরেই শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করেন বিনোদ। প্রিয়াঙ্কাকে খুনের পর দেহ সেই ঘরেই এক দিন রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু দেহে পচন ধরতে শুরু করায়, গত ২২ তারিখ রাতে, তা ফেলে দিয়ে আসেন বিনোদ। প্রমাণ লোপাটের জন্য একটি স্যুটকেসে ভরে দেহটি খালের পাশে ফেলে আসা হয় বলেও দাবি পুলিশের।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here









