অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ আজ একদিকে পথে নবাগত চাকরীপ্রার্থীদের বিক্ষোভ, অন্যদিকে, সিইও দপ্তরের অভিযানে বিএলওদের একাংশ। বিএলওদের বিক্ষোভ সামলাতে পুলিশকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা সহ পুলিশের সাথে তুমুল ধস্তাধস্তি চলছে। ব্যারিকেডের এক পাশে পুলিশ, অন্য পাশে বিএলওদের। নির্বাচন কমিশনের গেটের সামনে চলছে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা।

এক বিএলও নির্বাচন কমিশনের অফিসের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশ তাঁকে প্রতিহত করেন। বিএলওদের একাংশ সামনেই ধর্নায় বসে পড়েন। প্রথম থেকেই বিএলও-দের একাংশ অভিযোগ করে যাচ্ছিলেন, তাঁদের ওপর অতিরিক্ত চাপ দেওয়া হচ্ছে। নিত্য নতুন ফোনে কমিশনের নির্দেশ আসছে। সঙ্গে ফর্ম ডিজিটাইজ করতে হবে। যেটা করতে সময় লাগছে অনেক। তাতে কমিশনের কাছে তাঁরা ফর্ম ডিজিটাইজেশনের সময়সীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্যে এসে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কোনওভাবে সময়সীমা বাড়ানো যাবে না। কারণ ৪ ডিসেম্বর নয়, ২৫ নভেম্বরের মধ্যেই বিএলও-দের কাজ শেষ করতে হবে।

এরপরই এদিন CEO দফতর অভিযানে নামেন বিএলও-দের একাংশ। আন্দোলনকারী এক বিএলও বলেন, “আমাদের ওপর অমানসিক চাপ তৈরি করা হচ্ছে। আজ আমরা পথে নামতে বাধ্য হয়েছি। কাজ করব না, সেটা বলছি না। কিন্তু এত কম সময়ে, সঠিক পরিকল্পনা না নিয়ে, তারই প্রতিবাদ করছি।” প্রশ্ন উঠছে, বাকি রাজ্যের বিএলও-দের তুলনায় বাংলাতেই কেন এত সমস্যা হচ্ছে তাঁদের? উত্তরে এক আন্দোলনকারী বিএলও বলেন, “বাকি রাজ্যে যেভাবে প্রশিক্ষণ হয়েছে, আমাদের কি সেভাবে হয়েছে? বাকি রাজ্যের পরিকাঠামোর সঙ্গে আমাদের রাজ্যের পরিকাঠামোকে কি মিলিয়ে দেখা হয়েছে? ” এদিকে CEO দফতরের সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক বিএলও।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here









