অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ ফের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছে। অভিযোগ, “গতকাল চার জন পড়ুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রীকে কটূক্তি করেছিল। এমনকি এক জন ছাত্রকে ফেলে মারধরের অভিযোগও ওঠে।” এর জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ওই চার জন পড়ুয়ার ক্যাম্পাসে ঢোকা নিষিদ্ধ করলো৷
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, যাদবপুরের খেলার মাঠে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা হয়। তাদের মধ্যে একদল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়া ছিলেন। অপরদল ছিলেন কলা বিভাগের পড়ুয়া। তাঁদের মধ্যেই গণ্ডগোল হয়। জানা গিয়েছে, চার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার নিদান, ক্যাম্পাসের ভিতরে হাঁটা যাবে না হাত ধরে। কারণ, ক্যাম্পাস কোনও প্রেম-পিরিতি করার জায়গা নয়। এভাবেই নীতিপুলিশি চলে বলে অভিযোগ। এরই প্রতিবাদ করেন কলা বিভাগের পড়ুয়ারা। অভিযোগ, সেই বচসা গড়ায় হাতাহাতি পর্যন্ত। অভিযোগ, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওই পড়ুয়ারা আর্টসের ছাত্রীদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। ছাত্রীরা প্রশ্ন করলে সেই বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। এক ছাত্রকে ফেলে পেটানো হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্তদের নাম, পৃথ্বীশ দাস, সৃজন সর্দার। তাঁরা কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। বাকি দুজন অমিত ধীবর, ধ্রুব মাহাতো। এর মধ্যে ধ্রুব সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র আর অমিত প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের।
অভিযোগকারিনী ছাত্রী অনুষ্ণা দাস বলেন, “আমাদের মধ্যে দুজন ক্যাম্পাসের ভিতরে একটি ছেলে ও মেয়ে হাত ধরে হাঁটছিল। সেই সময় সৃজনরা ক্যাম্পাসের ভিতরে বসেছিল। আর নেশা করছিল। ওরা ওই ছেলে আর মেয়েটিকে প্রশ্ন করে ক্যাম্পাস কি প্রেম করার জায়গা? এটা কি পার্ক? যাদের বলেছিল, সেই ছেলে আর মেয়েটা যায় প্রশ্ন করেন কেন বলা হচ্ছে এই কথা? তখন সৃজন সর্দার ওই মেয়েটিকে হাত মচকে দেয়।” যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন,ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে যা যা করার করার তা করা হবে।কোনও পড়ুয়ার কেরিয়ার নষ্ট হোক, তা বিশ্ববিদ্যালয় চায় না।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here









