হাইকোর্টের নির্দেশে বিধায়ক পদ খারিজ হলো মুকুল রায়ের

Share

অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ দীর্ঘ সময়ের পর অবশেষে শুভেন্দু অধিকারী ও অম্বিকা রায়ের করা মামলার ভিত্তিতে হাইকোর্ট তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ করলেন। দলত্যাগ বিরোধী আইনের সাপেক্ষেই মুকুল রায়কে সরানো হয়েছে। পাশাপাশি, ডিভিশন বেঞ্চ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত খারিজ করেছে।

আজ বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শব্বর রসিদির বেঞ্চে চলছি মুকুল-মামলার শুনানি। এই বিবাদের সূত্রপাত ২০২২ সাল। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের বিজেপির টিকিটে জিতে বিধায়ক হন মুকুল। আর বছর ঘুরতেই তৃণমূলে ‘ঘর ওয়াপসি’ করেন বিজেপি বিধায়ক। এরপরই প্রশ্ন ওঠে তাঁর বিধায়ক পদ ঘিরে। একটা দলে ৩ বছর ৯ মাস কাটিয়ে, তাঁদের টিকিটে জিতে কীভাবে এই কাজ করতে পারেন মুকুল, প্রশ্ন তুলেছিল গেরুয়া শিবির। তবে প্রশ্ন তোলেননি শুভেন্দু। তিনি বলেছিলেন, ‘দলত্যাগ বিরোধী আইনটা আমার ভালই জানা রয়েছে।’

প্রথমে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ করে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয় বিজেপি। পাশাপাশি, মুকুল বিজেপি-তেই আছেন বলে সেই সময় বিধানসভা স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় যে রায় দিয়েছিলেন, তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে মামলা করেন বিরোধী দলনেতা। কিন্তু সেই মামলা প্রত্যাহার করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পরিবর্তে পরামর্শ দেয় হাইকোর্টে দ্বারস্থ হওয়ার। এরপরই অধ্য়ক্ষের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। এদিন সেই মামলার রায় দিয়েছে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ।


বলে রাখা প্রয়োজন, শুধু শুভেন্দু নন। এই সময়কালে মুকুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়ও। কীভাবে পিএসি চেয়ারম্য়ানে পদে শাসকদলের নেতাকে বসানো হয়েছে, সেই অভিযোগ তুলেই আইনি পথে হেঁটেছিলেন তিনি। এদিন সেই দুই অভিযোগেই সায় দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। খারিজ হয় মুকুলের বিধায়ক পদ। অন্য দিকে পিএসি পদ, তা থেকে আগেই সরে গিয়েছিলেন মুকুল। ২০২২ সালে ওই পদে বিজেপি রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীকে নিযুক্ত করেছিলেন অধ্যক্ষ।


Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930