মিনাক্ষী দাসঃ আজকাল ঘরে ঘরে ডায়াবেটিক রোগীদের দেখা মেলে। এরপর সারাদিন তাদের নানা ওষুধ, টোটকা ও পথ্য দিয়ে চিকিৎসা চলে। তবে আয়ুর্বেদশাস্ত্রে ডায়াবেটিস নিরাময়ের পদ্ধতির কথা উল্লেখ রয়েছে। তার মধ্যে কুলেখাড়ার ভূমিকা অনস্বীকায। সুগারকে যে কুলেখাড়া বশে রাখতে পারে, তা নানা গবেষণায় ও সমীক্ষায় উঠে এসেছে। এ বার প্রশ্ন হল, কখন এবং কোন উপায়ে কুলেখাড়া খেলে সবচেয়ে ভাল ফল পাওয়া যাবে?
আয়ুর্বেদের প্রাচীন গ্রন্থ ‘চরক সংহিতা’ ও ‘সুশ্রুত সংহিতা’-র মধ্যে ডায়াবেটিসের লক্ষণ, কারণ এবং চিকিৎসা নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা রয়েছে। কুলেখাড়ার মধ্যে থাকা ট্যানিন, ফ্ল্যাভোনয়েডস ও স্যাপোনিন জাতীয় উপাদান রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি কুলেখাড়ার রস আলফা অ্যামাইলেজ ও আলফা গ্লুকোসাইডেজ উৎসেচককে প্রতিরোধ করতে পারে। যার ফলে শর্করার হজম প্রক্রিয়া অনেকটা ধীর গতির হয়ে যায়।
কুলেখাড়া খাওয়ার নিয়মঃ
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereপ্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেতে পারেন কুলেখাড়ার রস। ২০-৩০ মিলিলিটার কুলেখাড়ার রস পান করলে ভাল ফল মেলে। পাশাপাশি কেউ চাইলে কুলেখাড়া পাতার কাত্থ বানিয়েও খেতে পারেন। সেটা বানাতে ১০ গ্রাম শুকনো কুলেখাড়া পাতা নিতে হবে। এরপর ২০০ মিলিলিটার জলে সেটি দিয়ে জ্বাল দিতে দিতে ৫০ মিলিলিটারে নিয়ে আসতে হবে। এই কাত্থ একবারে নয়, দিনে দুই বারে পান করতে পারেন।
যেহেতু স্বাদে কুলেখাড়া তেঁতো, তাই এটি সরাসরি খেতে না পারলে কুলেখাড়ার পাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে তাতে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এই তিন উপায়ের যে কোনও একটি অবলম্বন করে কুলেখাড়া খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ডায়াবেটিসের পাশাপাশি যকৃতের নানা রোগ, রক্ত তৈরি ও শোধনে এবং মূত্রবর্ধনে বিশেষ কাজে লাগে এই ভেষজ। এ ছাড়া এই ভেষজ সঠিক উপায়ে খেলে শরীরে রক্তও তৈরি হয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here