মিনাক্ষী দাসঃ দুর্গাপুজোর ঠিক কয়েকটা দিন পরই হয় কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা রাতে ধন-সমৃদ্ধির দেবী লক্ষ্মীর আরাধনায় ভক্তরা রাত জাগেন, ঘর ভরে ওঠে প্রদীপের আলো আর মিষ্টির গন্ধে। এই পুজোয় একটি বিশেষ মিষ্টি যেন অপরিহার্য, তা হল নারকেল নাড়ু। জেনে নিন মা লক্ষ্মীর পুজোয় কেন নারকেল নাড়ু দিতেই হয়। সঙ্গে রইল রেসিপিও।
প্রচলিত বিশ্বাস, নারকেল হচ্ছে পবিত্রতা ও শুভ্রতার প্রতীক। আবার মিষ্টি মানে মঙ্গল ও আনন্দ। তাই কোজাগরীর রাতে দেবীকে নারকেল নাড়ু নিবেদন করা হয়, যা সংসারে সমৃদ্ধি ও মাধুর্যের প্রতীক বলে ধরা হয়। লক্ষ্মীর পুজোর থালায় ফল-মূলের পাশাপাশি এই নাড়ু না থাকলে যেন পূজার আবহই অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
নারকেল নাড়ু রেসিপি
উপকরণঃ নারকেল কোরানো – ২ কাপ, গুড় (অথবা চিনি) – ১ কাপ, এলাচ গুঁড়ো – চা চামচ, ঘি – ১ চা চামচ
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereপ্রস্তুত প্রণালীঃ নারকেল ভাজা – প্রথমে কড়াইয়ে নারকেল কোরানো শুকনো করে ভেজে নিন, যেন কাঁচা গন্ধ না থাকে।
গুড় গলানো – অন্য কড়াইয়ে সামান্য জল দিয়ে গুড় গলিয়ে নিন। চাইলে চিনি ব্যবহার করতে পারেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereনারকেল-গুড় মিশ্রণ – গুড়ের সিরায় নারকেল কোরানো দিয়ে নাড়তে থাকুন, যাতে ভালভাবে মিশে যায়।
এলাচের গন্ধ – মিশ্রণে এলাচ গুঁড়ো দিয়ে দিন। এতে নাড়ুতে সুন্দর সুগন্ধ আসবে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
আঁচ থেকে নামানো – মিশ্রণটি যখন ঘন ও আঠালো হয়ে আসবে, তখন আঁচ থেকে নামিয়ে নিন।
নাড়ু গড়া – গরম থাকতেই হাতে সামান্য ঘি মেখে ছোট ছোট গোল নাড়ু বানিয়ে নিন।
ঠান্ডা করা – নাড়ুগুলো ঠান্ডা হলে শক্ত হয়ে যাবে, তখন পরিবেশনের জন্য একেবারে তৈরি।
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় মায়ের অর্ঘ্যে যখন নারকেল নাড়ু থাকে, তখন বিশ্বাস করা হয় সংসারে ধনসম্পদ, শান্তি ও মিষ্টি সম্পর্ক বজায় থাকে। তাই এই পূর্ণিমার রাতে নারকেল নাড়ু কেবল মিষ্টির স্বাদ নয়, বাঙালির বিশ্বাস আর ঐতিহ্যেরও প্রতীক।