বৃষ্টি হলেই হাসপাতালের ওটি থেকে চুঁইয়ে পড়ে জল

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হুগলীঃ হাসপাতালের ওটির ছাদ ফুটো, ওটি রুমে চুঁইয়ে পড়ে জল। এই হচ্ছে হুগলীর তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালের ছবি। চরম সমস্যায় চিকিৎসক থেকে রোগীরা। অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে হাসপাতালের ওটি রুমের ছাদে ফাটল থাকায় অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয় চিকিৎসকদের, শুধু তাই নয় বৃষ্টি হলেই ছাদ থেকে চুঁইয়ে ওটি রুমের মধ্যে পড়ে জল। ফলে বেশিরভাগ সার্জারির দিন পরিবর্তন করতে বাধ্য হন চিকিৎসকরা।

বৃষ্টি হলেই হাসপাতালের বেশির ভাগ জায়গায় জমে জল। ওটি রুমের সামনেও জল থই থই। মূলত এই ওটি-তে প্রসূতি মায়েদের সার্জারি হয় সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন।এই হাসপাতালে আরো একটি মারাত্বক অভিযোগ, কোনও কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হলে পুরো হাসপাতালে বন্ধ হয়ে যায় জরুরি কাজ ও পরিষেবা। জেনারেটের রুম আছে,জেনারেটর আছে অথচ তেল নেই।

হাসপাতালের স্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিৎসক শেখ হানিফ বলেন, “ওটি রুমে জল পড়া এবং জেনারেটরের অপব্যবস্থার কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন পুরো বিষয়টি জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে জানানো হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়েছে জেলা স্বস্থ্য দফতর।” হাসপাতালের অপব্যবস্থা নিয়ে সরব বিরোধীরা।


বিরোধীদের অভিযোগ, খেলা, মেলা ,ক্লাব অনুদানের জন্য ঋণ নিয়ে টাকা ছড়াচ্ছে সরকার অথচ সরাকরি হাসপাতালের ন্যূনতম পরিষেবা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। যদিও জেলার জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ দফতরের স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ দেবীপ্রসাদ রক্ষিত বলেন, “পুরানো ছাদ খুব তাড়াতাড়ি মেরামত করা হবে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতর থেকে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন জেরাটেরের ব্যবস্থা করা হয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি স্থাপন করা হবে।”

উলেখ্য, এই গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে শুধু তারকেশ্বর ব্লকের মানুষই আসেন, তা নয় ,তারকেশ্বর ছাড়াও, ধানিয়াখালি, হরিপাল,পুরশুড়া ব্লক এবং বর্ধমান ও হাওড়া জেলার কিছু অংশের মানুষ। প্রতিদিন গড়ে তিনশোর উপর মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসেন তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে। হাসপাতালের এরকম পরিস্থিতি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই দুর্ভোগের শিকার রোগী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।


Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
October 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031