নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মুর্শিদাবাদঃ মুর্শিদাবাদের ডোমকলের পর এবার রেজিনগরে বোমা বিস্ফোরণের জেরে ১ জন যুবক নিখোঁজ হয়। পরে বিস্ফোরণস্থলের পাঁচ কিলোমিটার দূরে যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। মৃত যুবকের নাম ওসমান বিশ্বাস। বিস্ফোরণের পর পরিবার আশঙ্কা করেছিল, দেহ অন্যত্র লোপাট করে দেওয়া হতে পারে। ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ওসমানের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছিল পুলিশ। পাঁচ কিলোমিটার দূর থেকে উদ্ধার হয় দেহ।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ভগীরথী নদীতে দেহ ভাসিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। পরিবারের অভিযোগ, যাঁরা ওসমানকে বোমা বাঁধার কাজের জন্য নিয়ে এসেছিলেন, সেই তিন জনই দেহ লোপাটের চেষ্টা করেছেন। পরিবারের দাবি, ওসমানকে শুক্রবার রাতে ওই তিন জনই বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন। ওসমান যে বোমা বাঁধার কাজ করতেন, সেটা স্বীকারও করে নিয়েছে পরিবার।
বিস্ফোরণের পরই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ এক জনকে গ্রেফতার করে। লাগাতর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাতেই উঠে আসে ভগীরথীতে দেহ ফেলা হয়েছে। সেখানেই তল্লাশি চালায় পুলিশ। উদ্ধার হয় দেহ। পরিবারের এক সদস্যের দাবি, “খবর পেয়ে আমরা ঘোষপাড়ায় যাই। গিয়ে দেখি সেখানে চাপ চাপ রক্ত পড়ে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বোমার সরঞ্জাম। কিন্তু মানুষটাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। বুঝতেই পারছিলাম না মরে গিয়েছে কিনা। তবে সন্দেহ ছিল সেটাই।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
নিহত ওসমানের দাদা বলেন, “আমার ভাইকে কালকে তিন জনে ডেকে নিয়ে যায়। হাবু, রোহাব, তাহাবুল, ওরাই ডাকে। ভাই মাকে শপথ করেছিল, বোমা বাঁধা ছেড়ে দিয়েছিল তারপর থেকে। তারপরও ওকে ডেকে নিয়ে যায়।” প্রসঙ্গত, শুক্রবার ডোমকলের পর শনিবার রেজিনগরে বোমা বিস্ফোরণ হয়। বোমা বাঁধতে গিয়েই বিস্ফোরণ হয় বলে জানতে পারে পুলিশ। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন ওসমান।
রেজিনগরের তৃণমূল বিধায়ক রবিউল আলম ইসলাম বলেন, “ওকে কে বোমা বাঁধার নির্দেশ দিয়েছিল, সেটাই আগে পুলিশ খুঁজে বার করুক। দ্রুত কঠোরতম শাস্তি দিতে হবে। এর পিছনে বড় মাথা নিশ্চয়ই রয়েছে। অবিলম্বে কঠোর তদন্ত করতে হবে।” অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, “এখানে তো বোমার কালচার আমদানি করেছে তৃণমূল। ভোট যত এগিয়ে আসবে, ততই আরও বিস্ফোরণ হবে।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here