চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ সোশ্যাল মিডিয়াতে পরিচয়। সেখান থেকে বন্ধুত্ব। তারপরই যুবতীকে বিয়ের প্রস্তাব যুবকের। অভিযোগ, যুবতী বিয়ে করতে অস্বীকার করার পরই তাঁকে ঠান্ডা পানীয়ে মাদক জাতীয় কিছু খাইয়ে অজ্ঞান করে ধর্ষণ করা হয়। এমনকি, ভিডিয়োও করে রাখা হয়। পরে সেই ভিডিয়ো দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় যুবতীকে। ঘটনাটি কলকাতার আনন্দপুরের। যুবতী আনন্দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ দায়েরের পর থেকেই অভিযুক্ত যুবক ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা পলাতক।
আনন্দপুরের বাসিন্দা ওই যুবতী জানান, অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি মেটিয়াব্রুজে। তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব হওয়ার পর যুবকের বাড়ির লোকজন যুবতীর বাড়ি এসেছিলেন। বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু, যুবতী পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চেয়ে এখনই বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বিয়ে করতে রাজি না হওয়ার পর যুবক আনন্দপুরের একটি জায়গায় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান।সেখানেই ঠান্ডা পানীয়র সঙ্গে মাদক জাতীয় কিছু খাইয়ে তাঁকে অজ্ঞান করে দেন।
যুবতীর অভিযোগ, অজ্ঞান অবস্থায় তাঁকে ধর্ষণ করা হয় এবং ভিডিয়ো করা হয়। সেই ভিডিয়ো দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করা হয় তাঁকে। একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। গর্ভবতী হয়ে পড়েন ওই যুবতী। বিষয়টি যুবকের বাড়িতে জানান যুবতী। অভিযোগ, যুবতীকে মেটিয়াব্রুজে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে অভিযুক্ত যুবকের পরিবার। জোর করে গর্ভপাত করানো হয়। গায়ে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়া হয়। যুবতীর আরও অভিযোগ, তাদের কেউ কিছু করতে পারবে না বলে ওই যুবকের পরিবার তাঁকে হুমকিও দেয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
গর্ভপাতের পর ওই যুবতীকে ছেড়ে দেয় অভিযুক্ত যুবকের পরিবার। এরপর গত ১৫ সেপ্টেম্বর আনন্দপুর থানায় যুবতীর পরিবার অভিযোগ দায়ের করে। অভিযুক্তের খোঁজে মেটিয়াব্রুজে যায় পুলিশ। কিন্তু, অভিযুক্ত যুবক ও তাঁর পরিবার বাড়িতে তালা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। অভিযুক্ত যুবকের কঠোর শাস্তি চাইছেন ওই যুবতী।