একদিকে গুলি অন্যদিকে বোমাবাজি, একি চললো গুলশন কলোনীতে

Share

অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ গতকাল সন্ধ্যায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গুলশন কলোনী। গুলি, বোমাবাজিতে একেবারে ছয়লাপ। বৃহস্পতিবার চলেছিল গুলি। কলোনির অটো স্ট্যান্ডে এসে পরপর গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তারপর রাত ঘনাতেই, আবার কলোনির দিকে ফিরে আসে এক দল দুষ্কৃতী। এবার আর গুলি নয়, ছোড়া হল বোমা।

মাঝরাতে গিয়ে কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের অনুগামীদের বাড়ি লক্ষ্য করে পরপর বোমা ছুড়ল দুষ্কৃতীরা। চারপাশ ঢেকে যায় ধোঁয়ায়। ধরা পড়ে সিসিটিভি ক্য়ামেরাতেও। কিন্তু কেন এত উত্তেজনা? গুলশন কলোনিতে দানা বাঁধল কোন বিপদ? একাংশ বলছেন, শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন গুলশন কলোনির বাসিন্দারা। বিরোধীদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত পরপর হওয়া ঘটনার নেপথ্যে যোগ রয়েছে শাসকদলের বিধায়ক ঘনিষ্ঠ মিনি ফিরোজ ও তার দলবলের।

ইতিমধ্য়েই এই ঘটনায় তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের দু’টি মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এদিন রাতের দিকেই এন্টালি ও নারকেলডাঙ্গা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাদের। বাজেয়াপ্ত হয়েছে দু’টি সেভেন এমএম পিস্তল ও কার্তুজও। কিন্তু যে এলাকায় সন্ধ্য়াতেই গুলি চলল, সেই একই এলাকাতে কীভাবে রাত ঘনাতেই বোমাবাজি হতে পারে? নিরাপত্তার কি অভাব ছিল? প্রশ্ন তুলছেন একাংশ।


স্থানীয় সূত্রে জানা যাত, সন্ধ্যায় গুলি চলতেই পুলিশ এলাকায় এসে যায়। কিন্তু সেই পুলিশ থাকা সত্ত্বেও রাতে আবার হয় বোমাবাজি। তা হলে নেপথ্য়ে রয়েছে কোনও মাথা? বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলছেন, ‘ওখানে কলকাতা পুলিশ দিয়ে হবে না। বাংলাদেশ পুলিশকে ডাকতে হবে। গুলশন কলোনি মানে রোহিঙ্গাদের কলোনি। তিন হাজার ভোটার রয়েছে। দু’লক্ষ বাসিন্দা। এরকম গুলশন কলোনি প্রতি জেলায় দু-চারটে করে তৈরি হয়েছে। পুরো বেআইনি জগৎ।


Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
September 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930