মিনাক্ষী দাসঃ উত্তর চব্বিশ পরগণাঃ গতকাল মাঝরাতেরবেলা মধ্যমগ্রাম হাইস্কুলের পাশে বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশ এটিকে আইইডি বিস্ফোরণ মনে করছেন। ঘটনার তদন্তে বিস্ফোরণস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে ফরেনসিক টিম। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে NIA টিম। তদন্তকারীরা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন, নিম্নমানের আইইডি বিস্ফোরণ হতে পারে। কারণ সকেট বোমা কিংবা সুতোলি বোমা বিস্ফোরণের ক্ষেত্রে যে ধরনের অভিঘাত হয়, সেগুলোর সঙ্গে এক্ষেত্রের বার্ন মার্কের মিল নেই। যে ধরনের স্প্লিন্টার সংগ্রহ করেছেন, তাতে সম্ভাবনা আরও জোরাল হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, যে ব্যক্তি এটা বহন করছিলেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, তাঁর দুটো হাত সবথেকে বেশী আহত হয়, মুখে কাল দাগ, সেই ক্ষতের মাত্রা দেখেও তদন্তকারীরা এটা মনে করছেন।
বিস্ফোরণে ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা সচ্চিদানন্দ নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা। স্কুলের বাইরে রাস্তার ধারে যাত্রীদের বসার জন্য একটি লোহার বেঞ্চ ছিল। সেই বেঞ্চের আশপাশেই বিস্ফোরণ হয়। সোমবার সকালে সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ফরেনসিক টিম। বিস্ফোরকের অংশবিশেষ সংগ্রহ করা হয়েছে। আদৌ আইইডি বিস্ফোরণ হয়েছে কিনা, সেটাই খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, মৃত সচিদানন্দ হরিয়ানার একটি কারখানায় কাজ করতেন। তিনি বিশেষ কাজে বাংলায় এসেছিলেন, কিন্তু সেকথা তাঁর পরিবারের সদস্যদের তিনি জানাননি।
রবিবার রাতেই বাবার সঙ্গে কথা বলেছিলেন সচিদানন্দ। কিন্তু ছেলে যে বাংলায়, তা তিনি জানতেন না। পুলিশ সচিদানন্দের বাবার সঙ্গে কথা বলে তেমনটাই জানতে পেরেছে। উল্লেখ্য, যে স্থানে ঘটনাটি ঘটেছে, তার উল্টোদিকেই মধ্যমগ্রাম হাইস্কুল। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশুতোষ ঘোষ বলেন, “ক্যাম্পাস পুরো নিরাপদ। যা হয়েছে বাইরে। অভিভাবকরা কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। আমরা সবাইকে বুঝিয়েছি। স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হয়েছে। কেউ ভিতরে আসেননি।” মন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কীভাবে বিস্ফোরণ, এখন সেটা তো বোঝা যাচ্ছে না।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here