নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বাঁকুড়াঃ ‘বনধ না মানলে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।’ এই হুমকি দিয়ে ফের মাওবাদীদের নামে পোস্টার পড়ল বাঁকুড়ায়। আজ (শনিবার) বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে মাওবাদীরা। আর এদিন সকালেই এই পোস্টারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাঁকুড়ার তালডাংরা থানা এলাকায়। বাঁকুড়ায় ফের মাওবাদী সক্রিয়তা বেড়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
তালডাংরা থানার রুকনি খালের পর এবার ওই থানারই পাঁচমুড়া কলেজ মোড় এলাকায় এদিন মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধার হয়। এদিন সকালে এলাকায় একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে সাদা কাগজে লাল কালিতে লেখা একটি পোস্টার দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিকে পোস্টারের মাধ্যমে এদিন বাংলা বনধের ডাক দেওয়া হলেও বনধের কোনও প্রভাবই পড়েনি এলাকায়। জনজীবন একেবারে স্বাভাবিক রয়েছে।
গতকাল স্বাধীনতা দিবসের সকালে বাঁকুড়ার তালডাংরা থানার রুকনি খালের কাছে বিদ্যুতের খুঁটিতে সাঁটানো একটি মাওবাদী পোস্টার দেখতে পান স্থানীয়রা। পোস্টারে মাওবাদী নেতা কিষেনজি ও সিধুর মৃত্যুর বদলার পাশাপাশি মাও নেতা প্রশান্ত বোস ও বিকাশের মুক্তির দাবি জানানো হয়। এর পাশাপাশি আদিবাসীদের পাট্টা দেওয়া এবং ১৬ অগস্ট বাংলা বনধের ডাক দেওয়া হয় পোস্টারে। ১৬ অগস্ট বাংলা বন্ধ না মানলে মৃত্যুদণ্ডের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয় পোস্টারে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
গতকাল এই পোস্টার উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে এদিন তালডাংরা থানারই পাঁচমুড়া কলেজ মোড় এলাকাতেও একই হাতের লেখা ও বয়ানের অপর একটি পোস্টার বিদ্যুতের খুঁটিতে সাঁটানো অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ওই পোস্টার ছিঁড়ে দেয়। এদিকে মাওবাদীদের নামাঙ্কিত পোস্টারে এদিন বাংলা বনধের ডাক দেওয়া হলেও তার কোনও প্রভাবই পড়েনি এলাকায়।
বাঁকুড়ার তালডাংরা থানা এলাকা সহ জেলার সর্বত্রই বাস চলাচল যেমন স্বাভাবিক রয়েছে তেমনই জনজীবনও রয়েছে একেবারে স্বাভাবিক। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, এই পোস্টারগুলির সঙ্গে মাওবাদীদের কোনও সম্পর্ক নেই। পুলিশের একাংশের বক্তব্য, স্থানীয় কেউ বা কারা এলাকায় বিভ্রান্তি ছড়াতে এই পোস্টার দিয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here