নবান্ন অভিযানের ঠিক আগেই দিল্লি গেলেন তিলোত্তমার মা-বাবা

Share

অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ আর মাত্র তিন দিন পরই আরজি কর কাণ্ডের নৃশংস সেই ঘটনার এক বছর পূর্ণ হতে চলেছে। তার আগেই মৃত তিলোত্তমার বাবা-মা দিল্লি রওনা দিলেন। রওনা দেওয়ার আগে জানিয়ে গেলেন, “আগামীকাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সাথে দেখা করতে চান।” সিবিআইয়ের (সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন) তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিকবার তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন। দিল্লিতে সিবিআইয়ের ডিরেক্টরের সঙ্গে দেখা করতে চান তিলোত্তমার বাবা-মা। সুপ্রিম কোর্টে তাঁদের উকিল করুণা নন্দীর সঙ্গেও দেখা করবেন।

গত বছরের ৯ অগস্ট আরজি করের সেমিনার হল থেকে জুনিয়র ডাক্তার তিলোত্তমার দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্তভার পায় সিবিআই। নিম্ন আদালত সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়। তবে তিলোত্তমার বাবা-মার অভিযোগ, তাঁদের মেয়ের নৃশংস পরিণতিতে শুধু এই সিভিক ভলান্টিয়ার জড়িত নন।

আরও অনেকে জড়িত রয়েছেন। সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে একাধিকবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। তিলোত্তমাকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ-খুনের এক বছর পূর্ণ হওয়ার দিনে (৯ অগস্ট) নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন নিহত চিকিৎসকের বাবা-মা। এদিন দিল্লি যাওয়ার আগে তাঁরা অভিযোগ করেন, “নবান্ন অভিযানে বাধা দিতে শুধু ব্যারিকেড দেওয়া নয়। হেয়ার স্ট্রিট থানার পরিচয় দিয়ে একটা ফোন এসেছিল। আমরা কেন ব্যানার লাগাচ্ছি, সেই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। আমরা বলেছি, আপনি যা করার করুন।”


এই সময় দিল্লি যাওয়ার কারণ নিয়ে তিলোত্তমার বাবা বলেন, “মূলত সিবিআই ডিরেক্টর ও দিল্লিতে আমাদের আইনজীবী করুণা নন্দীর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি। আগামিকাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা দেখা করতে চেয়েছিলাম। এখনও সময় পাইনি। তবে আগামিকাল সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে।” সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে তাঁরা একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছেন। সিবিআই ডিরেক্টর প্রবীণ সুদের সঙ্গেও দেখা করে কী দাবি জানাবেন? তিলোত্তমার বাবা বলেন, “সিবিআইয়ের ডিরেক্টরে কাছে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটের দাবি জানাব। এর বাইরে আপাতত কিছু বলতে চাই না।”


Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
October 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031