নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ঝাড়খণ্ডঃ দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর আজ ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সে রাজ্যের ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রধান শিবু সোরেনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুকালীন বয়স ৮১ বছর ছিল। খোদ ছেলে তথা ঝাড়খণ্ডের বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বাবার মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন।
সূত্রের খবর, শিবু সোরেন বার্ধক্যজনিত অসুখের পাশাপাশি বেশ কয়েকদিন কিডনির সমস্যা নিয়ে দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। দিন দু‘য়েক আগেই জানা যায়, শারীরিক অবস্থার অবনতির জন্য ভেন্টিলেশনেও রাখা হয়েছিল। কিন্তু শেষ অবধি মৃত্যুর কাছে হার মানলেন। শিবু সোরেনের প্রয়াণের খবর পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও শোকাহত। এদিন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “শিবু সোরেন একজন তৃণমূল স্তরের নেতা। যাঁর নিষ্ঠা জনগণের প্রতি অটল ছিল।
যিনি গোটা জীবন ধরে আদিবাসী সমাজের মানুষদেরই মূলস্রোতে তুলে আনার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। তাঁর প্রয়াণে আমি দুঃখিত। ওঁনার পরিবার-পরিজনদের প্রতি আমার সমবেদনা।” এদিকে, শিবু সোরেনের মৃত্যুতে হেমন্ত সোরেন শোকাহত হয়ে লিখেছেন, “শ্রদ্ধেয় দিশম গুরুজী আমাদের সকলকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন। আজ আমি শূন্য হয়ে গেলাম…“। উল্লেখ্য, শিবু সোরেন ১৯৭২ সাল থেকে বামপন্থী শ্রমিক নেতা একে রায় ও কুর্মি নেতা বিনোদ বিহারি মাহাতোর সাথে জোট বেঁধে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা গঠন করেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
অর্থাৎ শিবু সোরেন ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে প্রথম থেকে ‘গুরুজী’ নামেই পরিচিত ছিলেন। আর ২০০৫ সালে দশ দিনের জন্য প্রথম ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। পরে ২০০৮ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ধীরে ধীরে শিবু সোরেন ঝাড়খণ্ড আন্দোলনের অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছিলেন। পরবর্তী সময় তাঁর ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা দলের তত্ত্বাবধানে ২০০০ সালে ওড়িশা, বিহারও মধ্যপ্রদেশ কিছু অংশ মিলিয়ে ঝাড়খণ্ড রাজ্য তৈরী হয়। পাশাপাশি শিবু সোরেন কেন্দ্রের কয়লামন্ত্রীর পদে দায়িত্ব সামলেছেন। পরে যদিও কয়লা কেলেঙ্কারীতে নাম জড়িয়েছিল।