NRC নিয়ে বড়ো বার্তা দিলেন শমীক ভট্টাচার্য

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ জলপাইগুড়িঃ এনআরসি ইস্যুতে ভারতীয় মুসলমানদের কোনও ভয় নেই। মঙ্গলবার ময়নাগুড়িতে এই মন্তব্যই করতে দেখা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যকে। মঙ্গলবার বিকালে ময়নাগুড়িতে আসেন শমীক। দলের তরফে ময়নাগুড়ি ধর্মশালায় নব নির্বাচিত রাজ্য সভাপতিকে সংবর্ধনাও দেওয়া হয়। সেখানেই তিনি সংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন।

ভোট আসতেই যেখানে কমিশনের ভোটার তালিকা পরিমার্জন আড়ালে এনআরসির তত্ত্ব খাড়া করতে উঠেপড়ে লেগেছে সেখানে শমীকের এই মন্তব্যে নতুন করে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। যদিও সভাপতিত্ব গ্রহণের পর থেকেই বারেবারে সংখ্যালঘুদের বার্তা দিতে দেখা গিয়েছে শমীককে। ময়নাগুড়িতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লাগাতার সুর চড়াতে দেখা যায় তাঁকে। কথা বলেন দিনহাটার উত্তম ব্রজবাসীর কাছে আসা এনআরসি নোটিস আসা নিয়েও।

শমীক বলেন, “আমি তো কোনও আতঙ্ক দেখতে পেলাম না। বিচ্ছিন্নভাবে কারও কাছে কেন কোনও নোটিস আসছে আমার জানা নেই। কোনও হিন্দুকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কেউ উচ্ছেদ করতে পারবে না। যে সমস্ত ভারতীয় মুসলিম এই দেশকে নিজের দেশ মনে করেন, যাঁদের ঠাকুরদাকে কবর দেওয়া হয়েছে এই মাটিতে, তাঁদের কোনও বিপদ নেই। তাঁদের কোনও সরকার সরাবে না।” তবে এরপরই কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, “কিন্তু যাঁরা বেআইনিভাবে আসছেন, ওপারে হিন্দু পেটাবেন, এখানে সিএএ-এনআরসি ছি ছি বলে ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেবেন। সেসব আর চলবে না। এসবের দিন শেষ।”  


এদিকে আবার রাজ্যে রাজ্যে বাংলার পরিযায়ী হেনস্থা নিয়ে সুর চড়াচ্ছে তৃণমূল। অভিযোগ, বাংলা বললেই বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আঘাত হানা হচ্ছে বাঙালি অস্মিতায়। পথে নামছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়েও তোপ দেগেছেন শমীক। স্পষ্ট বলছেন, “তৃণমূলের একমাত্র এজেন্ডা হচ্ছে বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গাদের পশ্চিমবঙ্গে  জায়গা করে দেওয়া, ভোটার লিস্টে তাঁদের নাম তোলা, বিভিন্ন সময় তাঁদের কাজে লাগিয়ে বিজেপির উপর আক্রমণ করা।

এক্ষেত্রে তৃণমূল ও সিপিএম একই অবস্থানে আছে।” আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে তিনি বলেন, “বাঙালির বিরোধী যদি কেউ হয়ে থাকে সেটা কংগ্রেস। নেতাজি সুভাষ বোস থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বাংলাকে প্রতারণা করেছে কংগ্রেস। আর কংগ্রেসের গর্ভ থেকে জন্ম নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই তৃণমূলের কোনও নৈতিক কিংবা রাজনৈতিক অধিকার নেই ধরনের আন্দোলন করার।” 


Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930