নিজস্ব সংবাদদাতাঃ উত্তর দিনাজপুরঃ গতকাল উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় বিদ্যালয়ের সামনেই পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠলো বিদ্যালয়েরই এক নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে। এর জেরে গোটা এলাকা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। এই ঘটনায় উত্তেজিত জনতা থানা ঘেরাও করার পাশাপাশি অভিযুক্তের দোকানে আগুন লাগিয়ে দেন।
ছাত্রীর মা জানান, “আমার মেয়ে ক্লাস ফাইভে পড়ে। দশ বছর বয়স। বিদ্যালয়ে ডায়েরী আনতে গিয়েছিল। তখন নিরাপত্তারক্ষী মেয়েকে জড়িয়ে ধরে। বহুবার বলেছে কাকা ছাড়ো তাও ছাড়ল না। মেয়ে ভয় পেয়ে গিয়েছিল।” ঘটনাটি জানাজানি হতেই অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। প্রধান শিক্ষিকাকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এরপরই নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতারের দাবীতে থানা ঘেরাও করেন। সাথে নিরাপত্তারক্ষীর দোকানে ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
একটাই প্রশ্ন, এই ধরণের ঘটনা ঘটলো কেন? যাদের হাতে শিশুদের নিরাপত্তা, তারাই এই ধরণের ঘটনার সাথে যুক্ত হচ্ছেন কেন? এমনকি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও কোনো বক্তব্য রাখেননি। এলাকার স্থানীয় বিধায়ক মিনহাজুল আজাদ বলেন, “আমি এখনই বিষয়টা শুনলাম। কলকাতায় আছি। যথাযথ ব্যবস্থা নেব যাতে দোষী উপযুক্ত শাস্তি পায়। এটা অত্যন্তই লজ্জাজনক ঘটনা। আমি দ্রুত ব্যবস্থা নেব।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির এক জন আধিকারিকের বক্তব্য, “প্রশাসন এসে গিয়েছিল। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” উল্লেখ্য, কখনো কলেজে, কখনো বা বিদ্যালয়ে, বারবার রাজ্যজুড়ে শিশু নিযাতন নারী নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।