নিজস্ব সংবাদদাতাঃ খড়গপুরঃ এক বৃদ্ধকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর। ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই খড়গপুরের তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল শাসকদল। খড়গপুর টাউন থানায় বেবির বিরুদ্ধে তৃণমূলই এফআইআর দায়ের করল। একইসঙ্গে দলবিরোধী কাজের জন্য শাসকদলের এই নেত্রীকে শোকজও করা হল। তিনদিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। যদি বেবি কোলের বক্তব্য, মহিলাদের বিরুদ্ধে অন্যায় হলে তিনি লড়াই করবেন।
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিয়ো। সেখানে দেখা গিয়েছে, স্থানীয় বামপন্থী নেতা অনিল দাসকে রাস্তায় বেধড়ক মারধর করছেন বেবি কোলে। তাঁর সঙ্গে আরও জনা তিনেক মহিলা রয়েছেন। এক মহিলাকে দেখা যায়, অনিল দাসকে জুতো দিয়ে মারছেন। আশপাশে লোকজন জড়ো হয়ে গিয়েছেন। বিষয়টি নজরে আসার পরই তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব বেবির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে জেলা নেতৃত্বকে নির্দেশ দেয়। এরপরই তৃণমূলের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুজয় হাজরা বেবিকে শোকজ নোটিস পাঠান।
শোকজ নোটিসে বলা হয়েছে, “আপনি প্রকাশ্য রাস্তায় যে অশালীন এবং অশোভনীয় কাজ করেছেন এবং নিজের হাতে আইন তুলে নিয়ে একজন বয়স্ক মানুষকে হেনস্থা করেছেন, তাতে দলের ভাবমূর্তি যথেষ্ট আঘাত পেয়েছে।” দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য তিন দিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে বেবিকে। দলের এই নেত্রীর বিরুদ্ধে তৃণমূলই যে খড়্গপুর টাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে, শোকজ নোটিসে তাও জানিয়েছেন সুজয় হাজরা। তবে অনিল দাসকে মারধরের ঘটনায় তিনি যে অনুতপ্ত নন, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন বেবি কোলে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
বৃদ্ধকে মারধরের কারণ হিসেবে তাঁর যুক্তি, “ওই ব্যক্তি তিন মহিলার কছ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন ২ বছর আগে। তিনজনকে কাজ পাইয়ে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কাজ না পাওয়ায় তিনজন টাকা চান। তখন ওই ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রীর নামে খারাপ কথা বলেন। এমনকি, ওই মহিলাদের কুপ্রস্তাবও দেন।” অনিল দাসের বিরুদ্ধে থানায় কেন অভিযোগ দায়ের করলেন না, তার কোনও স্পষ্ট জবাব দিলেন না বেবি কোলে। উল্টে তাঁর বক্তব্য, “আমরা আগেও ওই ভদ্রলোকের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। টাকা নেওয়ার জন্য এবং মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্যের জন্য এই ঘটনা হয়েছে। মহিলাদের সঙ্গে অন্যায় হলে লড়াই করব।”