অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ পশ্চিম মেদিনীপুরে বন্যা পরিস্থিতি ইতিমধ্যে বিরাট আকার ধারণ করছে। চন্দ্রকোনার পর ঘাটালের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ডুবতে শুরু করেছে। রাজ্য সড়কও ডুবে গিয়েছে। এরই মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে আরো আশঙ্কার পরিস্থিতি তৈরী হচ্ছে। আর কমলা সতর্কতাও জারি হয়েছে। গতকাল রাতেরবেলা থেকে ডিভিসি জল ছাড়ার পরিমাণ আরো বাড়িয়েছে।
ডিভিসি সত্তর হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া শুরু করেছিল। আর আজ সকালবেলা ৭টা থেকে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ৭০ হাজার ৪৭৫ কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছে। তাই ডিভিসি বন্যার কমলা সতর্কতা জারি করেছে। প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ড লাগোয়া বিহারের উপর নিম্নচাপ দাঁড়িয়ে রয়েছে। ফলে ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে ডিভিসি বেশী জল ছাড়তে শুরু করেছে।
ঝাড়খণ্ডে প্রবল বর্ষণের জেরে দামোদর-বরাকরে জল বাড়ছে। বৃষ্টির জেরে মাইথন-পাঞ্চেত থেকে আরো বেশী জল ছাড়া হচ্ছে। এর জেরে নিম্ন দামোদর ও মুণ্ডেশ্বরীতে জলস্তর আরো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরী হয়েছে। আর সেটা হলে হাওড়া, হুগলী এবং পূর্ব বর্ধমানের একাধিক জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরী হবে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
গতকাল নবান্নে বৈঠক চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় মুখ্যসচীব মনোজ পন্থের ফোন থেকে জেলায় জেলায় প্রশাসনিক কর্তাদের ফোন করে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলার বন্যা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। হাওড়ার আমতা, উদয়নারায়ণপুরে মন্ত্রী পুলক রায়, হুগলীর আরামবাগ, গোঘাটে ফিরহাদ হাকিম, পশ্চিম মেদিনীপুরে মানস ভুঁইয়া ও বাঁকুড়া-পুরুলিয়ার পরিস্থিতির উপরে নজরদারীর জন্য মলয় ঘটককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।