প্রয়াত নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত বিধায়ক তাপস সাহা

Share

অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নদীয়ার তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার নাম জড়িয়েছিল। চাকরী দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছিল। কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছে হাজিরাও দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ সকাল ৮টা ১৫ মিনিট নাগাদ বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালীন বয়স ৬৬ বছর ছিল। তাঁর মৃত্যুতে রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া নেমেছে।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার হঠাৎ তাপসবাবু বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করেন। তখন জানা যায় তাপসবাবু ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত অর্থাৎ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ঘটেছিল। এরপর দ্রুত কলকাতার বেসরকারী একটি নার্সিংহোমে স্থানান্তর করা হলে সকালবেলাই মৃত্যু হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাপসবাবুর মৃত্যুর প্রসঙ্গে লেখেন, ‘‘নদীয়ার তেহট্টের বিধায়ক, আমাদের তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, শ্রী তাপস সাহার অকালমৃত্যুতে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। তিনি আমার অনেক দিনের পুরাতন সহকর্মী ছিলেন। তাঁর এই মৃত্যু জেলা তথা বাংলার রাজনীতিতে অপূরণীয় ক্ষতি। আমি তাঁর পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও অগণিত সমর্থককে আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই।’’

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে তাপসবাবু নদীয়ারই পলাশিপাড়া কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে জয়ী হন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তেহট্টের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন। জেলার দু’টি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে টানা দু’বার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে গতবছর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে তাপসবাবুর নাম সামনে এসেছিল। চাকরী দেওয়ার নাম করে কয়েক কোটি টাকা তুলেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। এছাড়া তাপসবাবুর কণ্ঠস্বরও সংগ্রহ করা হয়েছিল। পাশাপাশি বারো জন কেন্দ্রীয় আধিকারিক মিলে তাঁর তেহট্টের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন। এমনকি তাপসবাবুর আপ্ত সহায়কের বাড়ি সহ বাড়ির পাশের পুকুরেও তল্লাশি চালানো হয়। পুকুরপাড়েও বেশ কিছু নথি পোড়ানোর প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। সিবিআই (সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন) আধিকারিকরা সেই পুড়ে যাওয়া নথির নমুনা পরীক্ষা করার জন্য সংগ্রহ করেছিলেন।



DISCLAIMER: This channel does not promote any violent, Harmful or illegal activities. All content provided by this channel is meant for an educational purpose only.

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031