অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ কোথাও রাত থেকেই, আবার কোথাও কাকভোরে বাড়ি থেকেই বেরিয়ে পড়েছেন বাম কর্মী সমর্থকেরা। উদ্দেশ্য কলকাতা। ফের ব্রিগেডের ডাক দিয়েছে বামেরা। বেশ কয়েকদিনই চলছিল জোর তোড়জোড়। রবিবার সকাল থেকেই হাওড়া থেকে শিয়ালদহ, সব স্টেশনেই দেখা গেল ভালই ভিড়। হাতে লাল ঝান্ডা নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছেন বাম কর্মী সমর্থকেরা। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া থেকে হাওড়া, হুগলি, সর্বত্রই একই ছবি। কর্মীরা আসছেন উত্তরবঙ্গ থেকেও।
আগে পৌঁছালে মঞ্চের কাছাকাছি পৌঁছানো যাবে, কাছ থেকে দেখা যাবে নেতা-নেত্রীদের, স্পষ্ট শোনা যাবে তাঁদের কথা সেই আশাতে অনেকেই রওনা দিলেন শনিবার রাতেই। একদিকে কৃষক, বস্তিবাসী, ও ক্ষেতমজুরদের বিভিন্ন দাবি অন্যদিকে চাকরি চুরি ও দিকে দিকে হিংসার প্রতিবাদ জানাতেই তাঁরা ব্রিগেড যাচ্ছেন বলে দাবি বাম কর্মী সমর্থকদের। একইসঙ্গে আগামী ২০২৬ এর নির্বাচনের কোন রণনীতি ঘোষণা করেন দলের নেতারা তা জানতেও মুখিয়ে রয়েছেন ব্রিগেডগামী বাম কর্মী সমর্থকেরা।
গতকাল রাতের পর আজ সকাল থেকে ব্রিগেডের উদ্যেশ্যে বাঁকুড়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাসে করে রওনা দিতে শুরু করেছেন বাম কর্মী সমর্থকেরা। একই ছবি পূর্ব বর্ধমানেও। কাটোয়া মহকুমায় বাম সমর্থিত শ্রমজীবী মানুষ ও শ্রমিক সংগঠন, কৃষক সংগঠন, ক্ষেতমজুর সংগঠনের সদস্যদের সকাল থেকেই ব্রিগেডে যাওয়ার জন্য ভিড় দেখা যায়। সকাল সকাল বর্ধমান স্টেশন চত্বরে জড়ো হচ্ছেন বাম কর্মীরা। রবিবাসরীয় ব্রিগেডে শুধুমাত্র পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকেই দু’শোর কাছাকাছি বাস যাবে ব্রিগেডে।
যদিও বাম নেতারা তাই শনিবার থেকেই দফায় দফায় বাসে ও ট্রেনে কর্মী সমর্থকরা রওনা দিয়েছেন কলকাতার উদ্দেশ্যে। তবে মীনাক্ষীর শহর আসানসোল থেকে প্রচুর কর্মী সমর্থকদের এদিন কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হতে দেখা যায়। কুলটি, সীতারামপুর, বরাকর, আসানসোল স্টেশন থেকে সকাল থেকে অগ্নিবিনা ও কোলফিল্ড এক্সপ্রেসে কলকাতামুখী ছাত্র-যুব-শ্রমিক সংগঠনের সমর্থকরা। সকাল থেকেই ব্যাপক ভিড় হাওড়া স্টেশনে। একই ছবি শিয়ালদহতেও। প্রচুর কর্মীরা আসছেন জঙ্গলমহল থেকেও।