নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মেদিনীপুরঃ পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণায় রামনবমীর মিছিলে ঘটে গেল রোমহর্ষক ঘটনা। চারদিকে কয়েকশো লোক। ঢাক বাজছে। এর মধ্যে এক জন যুবক একটা চাদর পেতে রাস্তায় শুয়ে রয়েছেন। তখন আশপাশের বাড়ির ছাদ থেকে দেখছেন অনেকেই! রাস্তায় শুয়ে কী করতে চলেছেন যুবক? অত্যুৎসাহীদের চোখ ঘুরছে চারদিক।
কিছুক্ষণের মধ্যেই ফোকাসে ধরা দিলেন সাধু বেশে এক ব্যক্তি। তাঁর হাতে তলোয়ার। অস্ত্র প্রদর্শন করছেন তিনি। হুঁশ-হাঁশ তলোয়ার ঘোরাচ্ছেন। সাঁই-সাঁই করে হচ্ছে আওয়াজ। মিনিট দুয়েক ধরে তিনি সেটাই করলেন। তারপর ওই যুবকের কোপ। দূর থেকে যাঁরা দেখছিলেন, তাঁরা হতবাক হয়ে যান! হচ্ছেটা কী! আসেল ওই যুবকের পেটে রাখা ছিল একটা শশা। তলোয়ারের এক কোপে সেই শশা কেটে দু-খণ্ড। তবে যুবক রয়েছেন একেবারেই সুস্থ। সোজা হয়ে উঠে দাঁড়ালেন তিনি। রামনবমীতে অস্ত্র হাতে মিছিলে অংশগ্রহণ করেছেন রামভক্তরা। মিছিলের মাঝে অস্ত্র হাতে এক সাধুর দুঃসাহসিক কর্মকাণ্ড।
মানুষের পেটের উপর রাখা শশা রেখে তলোয়ার দিয়ে কাটলেন ওই সাধু। তাছাড়াও অস্ত্র হাতে রামভক্তদের এই মিছিলে হাঁটতে লক্ষ্য করা যায়, ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা চন্দ্রকোণায়। আর শশা কাটার পরও ওঠে হাততালির ঝড়! অস্ত্র হাতে মিছিলে হাওড়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত। কিন্তু হাওড়ার একাংশ তো বটেই, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় দেখা গিয়ে অস্ত্র হাতে মিছিল করছেন রামভক্তরা। কিন্তু এহেন দৃশ্য, যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, তা দেখে শিউরে উঠতে হয়। প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও।