Indian Prime Time
True News only ....

বাড়ি ফেরার পথে আচমকা হামলা চলল তৃণমূলের ব্লক যুব সভাপতির উপর

পিঙ্কি পালঃ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণাঃ গতকাল রাতের অন্ধকারে  দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার কুলপি থানার শ্যামপুরচক মোড়ে বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূলের ব্লক যুব সভাপতিকে পিটিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠলো কিছু দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত যুব তৃণমূল নেতার নাম শামসুর আলম মীর। আর এই ঘটনায় বাধা দিতে গিয়ে শামসুরের কাকা রাজের শেখ গুরুতর আহত হয়েছেন।

এদিন বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী শামসুরকে রাস্তায় দেখে গালিগালাজ করতে থাকলে সে প্রতিবাদ করে। তখনই শামসুরকে ঘিরে ধরে মারধর চলে। এরপর অচৈতন্য অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুলপি ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে শারীরিক অবস্থার অবনতির জন্য ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে ব্রেনে গুরুতর আঘাত থাকায় রাতেই কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এছাড়া রাজের শেখও কুলপি ব্লক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এই ঘটনার রাতেরবেলাই শামসুরের স্ত্রী কুলপি থানায় তৃণমূলের পাঁচ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা সকলেই কুলপির তৃণমূল বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদারের ঘনিষ্ঠ বলে এলাকায় পরিচিত। সংগঠন কার হাতে থাকবে তা নিয়ে বেশ কয়েক মাস ধরে বিধায়ক গোষ্ঠীর সঙ্গে ব্লক সভাপতি গোষ্ঠীর ঝামেলা চলছিল। অতএব এর জেরেই এই হামলা কিনা, সেই প্রশ্ন উঠেছে।

কুলপির তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুপ্রিয় হালদার এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জানান, “এই হামলায় বিধায়কের হাত রয়েছে কিনা, বলতে পারব না। কিন্তু অভিযুক্তরা আমাদের দলীয় অফিসে আনাগোনা করে। আমি জানি না কার ইন্ধনে এরা উড়ছে। পুলিশকে অনেকবার জানিয়েছি। এই ঘটনার নিন্দা করি। পুলিশের কাছে দাবী জানাই, এই হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।” এদিকে, বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদারকে একাধিকবার ফোন করা হলেও ফোন তোলেননি। তবে শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে বিজেপি ও আইএসএফ কটাক্ষ শুরু করেছে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.