ফের অশান্ত হয়ে ওঠা মণিপুরে জারি হলো ১৬৩ ধারা

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মণিপুরঃ মণিপুরের চূরাচান্দপুর জেলার জেনহাঙে ‘মার’ জনজাতির নেতা রিচার্ড মারের উপর হামলার প্রতিবাদে আহ আবারও মণিপুর অশান্ত হয়ে উঠেছে। এর জেরে এই জেলায় ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার (বিএনএসএস) ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে।

সূত্রের খবর, মারদের সংগঠন ‘মার ইনপুই’য়ের সাধারণ সম্পাদক রিচার্ডের গাড়িতে একটা দু’চাকার গাড়ি গিয়ে ধাক্কা মারায় বিবাদ শুরু হয়। এরপর গতকাল সন্ধ্যায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা জেনহাঙের ভিকে মন্টেসরি স্কুলচত্বরের ভিতর রিচার্ডের উপর হামলা চালায়। আর ওই হামলার পর থেকেই মারেরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে গোটা জেলায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অশান্তি বাড়তে শুরু করলে অতিরিক্ত জেলাশাসক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গোটা জেলায় ১৬৩ ধারা জারি করেন। নিষেধাজ্ঞা থাকাকালীন অনুমতি ছাড়া কোনো মিছিল বা সমাবেশের আয়োজন করা যাবে না।


পাঁচ জন অথবা ততোধিক লোকের জমায়েতও নিষিদ্ধ। এছাড়া কেউ লাঠি, পাথর কিংবা কোনো রকমের অস্ত্র বহন করতে পারবেন না। অন্য দিকে, ‘মার ইনপুই’ নেতার উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছে। আর ন্যায়বিচার না পেলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটার হুঁশিয়ারীও দেওয়া হয়েছে। এদিকে, এদিন সকালবেলা থেকে বিক্ষোভকারীরা চূরাচান্দপুর শহরে বন্‌ধ কার্যকর করার চেষ্টা করছেন। কোথাও কোথাও লাঠি হাতে অনেককেই রাস্তায় টহল দিতে দেখা যাচ্ছে। কোথাও আবার পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার ঘটনাও ঘটেছে।


প্রসঙ্গত, চূরাচান্দপুরই সহ রাজ্যের বাকি জেলাতেও অশান্তি অব্যাহত। চলতি মাসের শুরুতে কুকি জনজাতি অধ্যুষিত এলাকায় যে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্‌ধের ডাক দেওয়া হয়েছিল, গত ১৩ ই মার্চ তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। কুকি জো কাউন্সিলের তথ্যসচীব কে গাঙতে জানান, ‘‘নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে কুকি যুবক লালগৌথাং সিংসিটের মৃত্যুর প্রতিবাদেই অনির্দিষ্টকাল বন্‌ধ ডাকা হয়েছিল। এবার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হতে বন্‌ধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এও জানানো হয়েছে যে, বন্‌ধ প্রত্যাহার করা হলেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যে অবাধ যান চলাচলের নির্দেশ দিয়েছেন, তা মানা হবে না। দাবী পূরণ না হওয়া অবধি অবাধ যান চলাচলের বিরোধীতা চলবে।’’


Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
July 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031