অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ আজ সকাল ৬টা ১০ মিনিট নাগাদ দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী অঞ্চল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো। কলকাতার পাশাপাশি ওড়িশা ও বাংলাদেশেও ভূকম্পনের টের পাওয়া গিয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূকম্পনের মাত্রা ৫.১ ছিল।
জাতীয় ভূকম্পন পরিমাপকেন্দ্র বা ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির দেওয়া তথ্য অনুসারে, ভূমিকম্পের উৎসস্থল বঙ্গোপসাগরের ৯১ কিলোমিটার গভীরে ছিল। জাতীয় ভূকম্পন পরিমাপকেন্দ্র যে ছবি প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূল সহ উপকূল সংলগ্ন অঞ্চলে ভূকম্পন অনূভূত হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি, দিঘা ও হলদিয়ায় ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। বাংলাদেশেও ঢাকা সহ পশ্চিম প্রান্তের উপকূলের কিছু অঞ্চলে ভূকম্পন টের পাওয়া গিয়েছে।

- Sponsored -
ভূমিকম্পে এখনো অবধি কোনো ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। আর ভূকম্পনের পরে সমুদ্রের পরিস্থিতি কেমন রয়েছে, তা নিয়েও সরকারী স্তরে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। গত সপ্তাহেই দিল্লি এবং সংলগ্ন অঞ্চলে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। তখন রিখটার স্কেলে ভূকম্পনের মাত্রা ৪ ছিল। পাশাপাশি ভূকম্পনের উৎসস্থল দিল্লির ধৌলাকুঁয়া ছিল। মূলত মাটি থেকে পাঁচ কিলোমিটার গভীরে ভূকম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল।
কেন্দ্রীয় সরকারের ২০২১ সালের তথ্য অনুসারে কলকাতা অবস্থানগত দিক থেকে ‘সিসমিক জোন ৪’ এর মধ্যে পড়ে। অর্থাৎ এই অঞ্চলে ভূকম্পনের সম্ভাবনা মৃদু। ভূকম্পনের উৎস এই অঞ্চলে সাধারণত দেখা যায় না। বঙ্গোপসাগর, উত্তর-পূর্ব ভারত, নেপালের কম্পনের প্রভাব এই অঞ্চলে পড়তে দেখা যায়। কোন অঞ্চলে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা কতটা রয়েছে, তার উপর নির্ভর করে এই অঞ্চলগুলিকে ভাগ করা হয়। দেশে এমন চারটি অঞ্চল রয়েছে। ‘সিসমিক জোন ২’ (ভূকম্পনের সম্ভাবনা সবচেয়ে কম) থেকে শুরু করে ‘সিসমিক জোন ৫’ (কম্পনের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশী) পর্যন্ত ভারতে রয়েছে।