রায়া দাসঃ কলকাতাঃ গতকাল রাতেরবেলা হিন্দু হস্টেলের ১০১ নম্বর ঘরের ছাদের একাংশ ভেঙে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরী হয়। ওই ঘটনার পরই প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রাবাসে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আর ছাত্রেরা হস্টেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনে সরব হয়েছে।
হস্টেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতেরবেলা প্রায় ১১টা নাগাদ হঠাৎই সমাজতত্ত্বের স্নাতকোত্তর প্রথম বর্ষের ছাত্র ঐশ্নিক দত্তের বিছানায় ছাদের একাংশ ভেঙে পড়ে। তবে ঘটনার সময় ঐশ্নিক ঘরে না থাকায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায়। আর ঘরের বাকি আবাসিক ছাত্রেরও তেমন কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি। কিন্তু এই ঘটনার পর থেকেই আবাসিকরা আতঙ্কে রয়েছে। আর ছাত্রদের একাংশ হস্টেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে জানায়, ‘‘গত বেশ কয়েক মাস ধরে হস্টেল কর্তৃপক্ষকে হিন্দু হস্টেলের ঘরগুলির দুরবস্থা সম্পর্কে জানানো হয়েছে।

- Sponsored -
তা সত্ত্বেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। গতকাল রাতেরবেলা বিষয়টি হস্টেলের কর্মী আশিসকুমার কর্মকারকে জানালেও সাহায্য পাওয়া যায়নি। প্রথমে ওই রুমে যেতেও চাননি। উল্টে আবাসিকদের রাতটুকু কোনো ভাবে কাটিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এরপর ঘুমোতেও চলে যান বলে অভিযোগ ওঠে।’’ তবে ছাত্রদের চাপের মুখে পড়ে শেষমেশ ওই ঘরের আবাসিকদের অন্য একটি ঘরে থাকার ব্যবস্থা করে দিতে হয়। ছাত্রদের বক্তব্য, ‘‘ভবিষ্যতে এই ধরণের ঝুঁকি এড়াতে শীঘ্রই ব্যবস্থা নিতে হবে।’’ অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটার হুঁশিয়ারীও দিয়েছে।
যদিও ডিন অফ স্টুডেন্টস্ অরুণকুমার মাইতি জানান, ‘‘বুধবার রাতেরবেলা সিলিং থেকে প্লাস্টার খুলে পড়েছে বলে খবর পাই। আমরাও জানি যে এটা পুরনো বিল্ডিং। পিডব্লিউডির হাতে সংস্কারের দায়িত্ব রয়েছে। হস্টেলের কোনো ঘরের সিলিংয়ে ফাটল দেখা দিলে তা আগে থেকে জানাতে হবে। তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া যেত। তবে যা হয়েছে, তা একেবারেই কাম্য নয়। খবর পেয়েই পিডব্লিউডিকে জানানো হয়। সকালবেলা তারা এসে পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখে গিয়েছে। শুধু ওই ঘরটিই নয়, অন্য ঘরগুলিতে কোথাও এমন পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে কিনা, তাও দেখে গিয়েছে। শীঘ্রই সংস্কারের কাজ শুরু হবে।’’