নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নদীয়াঃ নদীয়ার শান্তিপুরে ধুন্ধুমার ঘটনা। বিক্ষোভ দেখানোর নামে শান্তিপুর বিডিও অফিসে ঢুকে তৃণমূল কর্মীরা তাণ্ডব চালায়। বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ সভাপতি অফিস ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ উঠছে। এমনকি তাণ্ডব চলাকালীন চেয়ার ছোঁড়া হয়। দরজাও ভেঙে ফেলা হয়।
জানা যায়, গত সোমবার বিজেপি শান্তিপুর বিডিওর বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ এবং শাসকদলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ তুলে অবস্থান বিক্ষোভ পালন করে। বিডিওকে আটকে রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অবস্থান বিক্ষোভ চালায়। পাশাপাশি পুরষ্কার হিসেবে বিডিওর হাতে তৃণমূলের প্রতীক চিহ্ন তুলে দেওয়া হয়। এদিন মূলত সরকারী আধিকারিকে হেনস্থা করা হয়েছে কেন? তার প্রতিবাদে তৃণমূল বিডিও অফিসের সামনে প্রতিবাদ বিক্ষোভ পালন করে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
পরে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নৃপেন মণ্ডলের অফিসে ঢুকে আচমকা দরজার লক ভেঙে ফেলে। পাশাপাশি চেয়ার ছুঁড়ে মারা হয়। এরপর তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তীর অফিসে ঢুকে চেয়ার ভাঙচুর চালায় ও নেমপ্লেট ভেঙে ফেলা হয়। তৃণমূল নেতার দাবী, “এখানে সুস্থভাবেই অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। বিজেপি যেভাবে সরকারী আধিকারিকদের হেনস্থা করেছে তার প্রতিবাদে আমরা বিক্ষোভ করছি। কিন্তু এখানে যারা চেয়ার ছুঁড়ে মেরেছে বা ভাঙচুর করেছে তারা বিজেপি কর্মী হয়তো। বিজেপি আমাদের ভেতর ঢুকিয়ে এই কাজ করিয়েছে।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
অন্যদিকে, চঞ্চল চক্রবর্তী এই প্রসঙ্গে জানান, “সরকারী অফিস ভাঙচুর করা তৃণমূলের কালচার। এখানে শুধুমাত্র বিজেপি বসেছে এমনটা নয় এখানে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরাও বসেছেন। সেই অফিস ভাঙচুর করা মানে সকলকেই অপমান করা। তবে আজ যে ঘটনা ঘটলো সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলে হাজার হাজার বিজেপি কর্মীরা বিডিও অফিস ঘেরাও করবে।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here