নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নদীয়াঃ আজ নদীয়ার কল্যাণী পুরসভার কুড়ি নম্বর ওয়ার্ডের রথতলায় একটি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে গোটা কারখানা একেবারে ঝলসে যায়। এমনকি কারখানার দেওয়ালও ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে দু’জন মহিলা। আর কেউ আটকে রয়েছেন কিনা, তা জানার চেষ্টা চলছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। একজন মহিলার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। মৃতরা সবাই ওই কারখানার কর্মী ছিলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিস্ফোরণ ঘটতেই দমকল বিভাগকে খবর দেওয়া হয়। এরপর দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পাশাপাশি কল্যাণী থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পুলিশের প্রাথমিক ভাবে অনুমান, আতশবাজি তৈরীর সময় শর্ট সার্কিট থেকে এই আগুন লাগতেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে বিস্ফোরণের সঠিক কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর ঘটনাস্থলও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের প্রসঙ্গে কুড়ি নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুব্রত চক্রবর্তীর দাবী, ‘‘এমন কোনো কারখানার কথা জানাই ছিল না। এদিন বিস্ফোরণ হওয়ার পর সবটা জানা গিয়েছে। তবে এটা কোনো কারখানা নয়। একটা বাড়ির মধ্যে চলছিল।” অন্যদিকে, স্থানীয় বিধায়ক অম্বিকা রায় সরাসরি বলেন, “পুলিশ সব জেনেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এরকম কিছু ঘটনা ঘটলে, তখন পুলিশ ব্যবস্থা করে। সবটাই জানত পুলিশ। ভগবানের ভরসায় আছি। আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এর আগে ভূপতিনগর, ডায়মন্ড হারবার, চম্পাহাটিতেও একইভাবে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এরপরও আদৌ কি কোনো সাবধানতা অবলম্বন করা হয়? তা নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন উঠে আসছে। বাজি কারখানাগুলি নিয়ে বারবার রাজ্যে প্রশ্ন উঠেছে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠেছে যে, ‘‘অবৈধভাবে বাজি কারখানাগুলি চলে। ঘন বসতিপূর্ণ এলাকায় এই সব কারখানা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েও খুব একটা লাভ হয়নি। পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডগায় এই কর্মকাণ্ড চলে।” রাজ্য সরকারের তরফেও এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here