অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস নিয়ে আশঙ্কা বরাবরের। তাই প্রতিবছর এই ‘বিপত্তি’কে রুখতে আগাম কিছু না কিছু পরিবর্তন এনে থাকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সংসদের নীতিতে বদল থেকে বাদ পড়ল না এই বছরটাও। উচ্চ মাধ্যমিকে প্রশ্নফাঁস রুখতে পরীক্ষা পরিচালনায় এক গুচ্ছ বদল আনল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, আগে কোন স্কুলে প্রশ্ন যাবে তা নির্ধারণ ও বাছাই পর্ব চলত নিরাপত্তার মোড়কে। থানার অন্দরেই চলত সেই সমস্ত কাজকর্ম। কিন্তু চলতি বছর থেকে বদলে যেতে চলেছে সেই নিয়ম। নিরাপত্তার ঢাল বজায় রাখা হলেও, হস্তক্ষেপ থাকবে না স্থানীয় থানার, বরং ছাপাখানা থেকে এবার সেই বাছাইয়ের কাজ হয়ে আসবে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে মেটাল ডিটেক্টরও বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা সংসদ। প্রতিবছর পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফোন উদ্ধারের নানা ঘটনা ঘটে থাকে। এবার সেই বিষয়টিকে আগাম রুখে দিতে পরীক্ষা কেন্দ্রে বসবে মেটাল ডিটেক্টর।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
তবে বদলের প্রসঙ্গে কিন্তু এখানেই থেমে থাকেনি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। মূলত, মুখবন্ধ খামে প্রশ্ন প্রতিটি স্কুলে পৌঁছে থাকে। তারপর সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেই খাম খুলে প্রশ্ন বের করেন। সংসদের দাবি, পরীক্ষার্থীদের হাতে প্রশ্নপত্র পড়ার এতটা সময় আগে মুখবন্ধ খাম খোলার বিষয়টা মোটেই নিরাপদ নয়। এই সময়ের ব্যবধানের মধ্যে প্রশ্নফাঁসের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। তাই এই রীতিতে বদল আনতে চায় তারা। বর্তমানে প্রশ্নপত্রের সিল খোলা হয় প্রধান শিক্ষকের ঘরে। কিন্তু সেই রীতিতে এবার আসবে বদল। প্রধান শিক্ষকের ঘর নয়, বরং সরাসরি ক্লাসরুমে গিয়ে মুখবন্ধ খাম থেকে প্রশ্ন বের করবেন পরীক্ষকরা।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
উল্লেখ্য, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এমন পদক্ষেপ কার্যত প্রশংসাযোগ্য বলেই তকমা দিচ্ছে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি। এই শিক্ষা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘এমন পদক্ষেপ বেনজির ও প্রশংসনীয়।’ প্রশংসার পরই আশঙ্কা প্রকাশ করতেও পিছপা হননি তিনি। তাঁর কথায়, ‘লক্ষীন্দরের ঘরে মতো এখানে গর্ত থাকলে অসুবিধা, শাসক দলের শিক্ষকরা ইচ্ছা করে প্রশ্ন বের করে দিতে পারেন, তো সেই বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে।’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here