স্কুলে সরস্বতী পুজো করার সিদ্ধান্ত নিতেই বাধা প্রদান করলো তৃণমূল নেতা

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নদীয়াঃ নদীয়ার হরিণঘাটা থানার অন্তর্গত নগরউখড়া দাসবেরিয়া দাস গোলডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজো করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠলো তৃণমূলের বুথ সভাপতি আলিমউদ্দিন মণ্ডলের বিরুদ্ধে। এই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহলেও ব্যাপক চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে।

বিদ্যালয়ের টিচার ইনচার্জ কাশীরাম বর্মন সরস্বতী পুজো করতে উদ্যোগী হতেই অভিভাবকদের সাথে আলোচনা করে সরস্বতী পুজো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু এই উদ্যোগ নেওয়ার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই আলিমউদ্দিন মণ্ডল কাশীরামবাবুকে বদলি করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। আজ সকালবেলা কাশীরামবাবু বিদ্যালয়ে আসতেই তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। এমনকি আলিমউদ্দিন মণ্ডল কাশীরামবাবুর দিকে দলবল নিয়ে তেড়েও যাওয়ার অভিযোগও ওঠে। নগরউখড়া পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান আর দু’পক্ষকেই ডাকেন।


পুলিশের তরফে সেখানেই মিটমাট করার কথা বলা হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে পড়ুয়ারা সকলে রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন। কুণাল ঘোষ এই প্রসঙ্গে জানান, “সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়া কাম্য নয়। তবে এটা স্থানীয় নেতৃত্ব দেখবেন। এটা কতটা সঠিক নাকি অন্য কিছু সেটা দেখা উচিত। কিন্তু আসলে কি ঘটেছে তা জানতে হবে।” তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নারায়ণ দাস বলেন, “যিনি হুমকি দিয়েছেন তিনি তৃণমূল করেন না ও সিপিএমের লোক। এই ব্যবহার ঠিক নয়। এটা অন্যায়। শিক্ষকদের ভয় পাওয়ার দরকার নেই। প্রশাসন ব্যাপারটা দেখছে। মুখ্যমন্ত্রী তো বলেই দিয়েছেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার।”


যদিও ইতিমধ্যে বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার প্রধান শিক্ষককে ফোন করে সব কথা জানতে পারেন। পাশাপাশি এই বিষয়ে জানালেন, “ওরা মাস্টারকে এসে সাফ বলেছিল ওখানে সরস্বতী পুজো করা যাবে না। এটা যারা হুমকি দিয়েছে তাদের দোষ নয়।” আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেছেন, “উনি দুধেল গাইকে এভাবে আস্কারা দিয়েছেন বলেই আজ এরা মা সরস্বতীর পুজোর বিরোধীতা করতে সাহস পাচ্ছে।” এদিকে, আক্রান্ত শিক্ষক জানিয়েছেন, “এরপর বিদ্যালয়ে আসব কিভাবে বুঝতে পারছি না। খুবই ভয়ে আছি।”


Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
July 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031