অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের স্যালাইন কাণ্ডের এক সপ্তাহের বেশী সময় পার হয়ে যাওয়ার পরও অসুস্থ প্রসূতিরা চিকিৎসাধীন। সদ্য জন্মানো সন্তানদের পাশে তাদের মা নেই। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ অনুসারে ইতিমধ্যেই ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালস’ -এর স্যালাইন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমানে ওই একই বিতর্ক খাস কলকাতার মেডিকেল কলেজে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
জানা গেছে, গতকাল রাতেরবেলা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের প্রসূতি বিভাগে রিঙ্গার ল্যাকটেটের একটি বোতলে ছত্রাক পাওয়া গিয়েছে বলে জুনিয়র চিকিৎসকরা সন্দেহ প্রকাশ করছেন। জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবী, ‘‘ ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালস’-এর ওষুধ ও ছত্রাক নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর নতুন সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নতুন ব্যাচের যে স্যালাইন এসেছে, তাতেও ছত্রাক পাওয়া গিয়েছে। বোতলটি হাতে নিলেই বোঝা যাচ্ছে, তার মধ্যে সাদা সাদা কিছু ঘুরে বেড়াচ্ছে।’’
তবে এইভাবে প্রসূতিদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে কেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের ঘটনায় চিকিৎসকদের গাফিলতি নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সেদিন সিনিয়র চিকিৎসকদের উপস্থিতি ছিল না বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই ছ’জন চিকিৎসকের নামে এফআইআর দায়ের হয়েছে।