নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ছত্রিশগঢ়ঃ কেন্দ্রীয় আধাসেনা ও রাজ্য পুলিশের যৌথ অভিযানে মহারাষ্ট্র, ছত্রিশগঢ়ে ধারাবাহিক ভাবে মাওবাদী গেরিলাদের মৃত্যু হচ্ছে। আর সেই সঙ্গে আত্মসমর্পণের প্রবণতাও বাড়ছে। আর আজ আবার ছত্রিশগঢ়ের বস্তার ডিভিশনের চার জন মাওবাদী নেতা আত্মসমর্পণ করে। যাদের মাথার দাম ৩২ লক্ষ টাকা ছিল। আত্মসমর্পণকারীরা হলো মাওবাদী গেরিলা হলেন ৩০ বছর বয়সী রঞ্জিত লেকামি ওরফে অর্জুন ও তার স্ত্রী কোসি ওরফে কাজল সহ মাওবাদীদের বস্তার বিভাগীয় কমিটির সদস্য ৩৫ বছর বয়সী গান্ধী তাঁতি ওরফে আরব ওরফে কমলেশ এবং ৩৫ বছর বয়সী মাইনু ওরফে হেমলাল কোররাম।
সূত্রের খবর, নারায়ণপুর জেলার পুলিশ সুপার প্রভাত কুমারের উপস্থিতিতে অর্জুন, কাজল, কমলেশ ও হেমলাল আত্মসমর্পণ করেছে। ওই চার জনের বিরুদ্ধে খুন, নাশকতা সহ চল্লিশটির বেশী গুরুতর ফৌজদারি মামলা রয়েছে। তবে যৌথবাহিনীর অভিযান নয়, এই সাফল্য ছত্রিশগঢ় ‘নিয়া নার নিয়া পুলিশ’ (আমাদের গ্রাম, আমাদের পুলিশ) প্রচার কর্মসূ্চীর সাফল্য। প্রভাত কুমার জানান, ‘‘নিষিদ্ধ সিপিআইয়ের (মাওবাদী) সশস্ত্র শাখা পিএলজিএর (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি) বস্তার ডিভিশনে সক্রিয় আরো কয়েক জন নেতা-নেত্রী ভবিষ্যতে আমাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরবেন।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১০ সালে কমলেশ দান্তেওয়াড়া জেলায় (বর্তমানে সুকমা) যৌথবাহিনীর উপর হামলা চালিয়ে ৭৬ জওয়ানকে খুনের অপরাধে জড়িত ছিলেন। হেমলাল সিপিআইর (মাওবাদী) আমদাই ‘এরিয়া কমিটি’র সম্পাদক। উল্লেখ্য যে, গত বছর বস্তার ডিভিশনের সাতটি জেলায় মোট ৭৯২ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করে।