পিঙ্কি পালঃ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণাঃ পর্যটনের ভরা মরশুমে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বকখালির মৌসুনি দ্বীপের অর্ন্তগত ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানা এলাকার সল্টঘেরি বালিয়াড়ার ‘মহামায়া’ নামে একটি হোম স্টেতে আগুন লেগে ১১টি ঘর পুড়ে ছারখার হয়ে যায়। আগুনের লেলিহান শিখা বহু দূর থেকে দেখা যাচ্ছিল। তিন মাসের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার পর্যটনপ্রেমীদের এই জনপ্রিয় পর্যটনস্থলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো।
জানা যাচ্ছে, এই হোম স্টেটি মাটি ও বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরী হয়েছিল। মোট কুড়িটি ঘর ছিল। এর মধ্যে স্টোর রুম, কিচেন রুম এবং ডাইনিং রুমে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বরাতজোরে পর্যটকরা কোনোরকমে প্রাণে বাঁচলেন। কারণ যে মুহূর্তে আগুন লাগে ঠিক সেই সময় তিন জন পর্যটক খেতে গিয়েছিলেন। কিন্তু কাঠের হোম স্টেতে কোনো অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ ওঠে। প্রত্যন্ত দ্বীপ এলাকা হওয়ায় এখানে দমকলের কর্মীদের পৌঁছানোর কোনো উপায় না থাকায় এলাকাবাসীরা নিজেরাই জল ঢেলে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন।
প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশ অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। প্রাথমিক ভাবে শর্টসার্কিট থেকে এই আগুন লেগেছে বলে মনে করা হয়েছে। এদিকে ওই হোম স্টেটি সম্পূর্ণরূপে ভস্মীভূত হয়ে যাওয়ায় মালিকের মাথায় হাত। যদিও ক্ষয়-ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ জানা যায়নি। অভিযোগ, “এই জনপ্রিয় পর্যটনস্থলের অধিকাংশ হোম স্টেরই দমকলের ছাড়পত্র নেই। শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে রমরমিয়ে হোম স্টের ব্যবসা চলছে। এরফলে যেকোনো সময় এখানকার কটেজগুলিতে আবারও বিপদ ঘটতে পারে।”