নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হুগলীঃ গতকাল হুগলীর হরিপাল থানার বাহিরখণ্ড পঞ্চায়েতের জিগরা এলাকায় মদ্যপান ও অশ্লীল কটূক্তির প্রতিবাদে প্রতিবেশীকে মারধরের অভিযোগ উঠলো অপর প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। এমনকি, স্বামীকে বাঁচাতে স্ত্রীও আক্রান্ত হয়েছেন। ভেঙেছে হাত। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী, দীর্ঘ দিন থেকে ওই গ্রামের বাসিন্দা ছোটন দাসের সাথে প্রতিবেশী আব্দুল শহিদের বিবাদ। শহিদের দাবী, “ছোটন তার জায়গা দখল করে রাস্তা বানিয়েছেন।” তাই এদিন শহিদ ওই রাস্তা ভাঙতে শুরু করায় ছোটন বাধা দেয়। তখনই তার উপর হামলা করা হয়। এরপর ছোটনের স্ত্রী কবিতা স্বামীকে বাঁচাতে আসলে শহিদ কবিতাকে মেরে হাত ভেঙে দেন। জমি সংক্রান্ত বিবাদ হলেও মদের আসরকে কেন্দ্র করে ঝামেলার সূত্রপাত।
আক্রান্ত মহিলার অভিযোগ, “শহিদ বাড়ির পাশে একটি মাচা তৈরী করেছিল। সেখানে দিনরাত নেশার আসর বসত। অন্য পাড়া থেকেও লোক আসত। আর সকলে মিলে গ্রামের মহিলাদের কটূক্তি করত। এই নিয়ে বার বার বলা সত্ত্বেও কোনো লাভ হয়নি। স্থানীয় পঞ্চায়েতও অভিযোগ কানে তোলেনি।” তবে এদিনের ঘটনার পর ছোটন ও কবিতা হরিপাল থানায় গিয়ে শহিদ সহ চার জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে শহিদকে থানায় তুলে নিয়ে যায়। আর পরে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে, শহিদের পরিবার সব অভিযোগ অসত্য বলে দাবী করে, পাল্টা ছোটন এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে জানান, “শহিদকে মিথ্যে কথা বলে ফাঁসানো হচ্ছে। মদ্যপানের যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা ঠিক নয়। জমি নিয়ে প্রতিবেশী ঝামেলা করতেন। তা নিয়ে বিবাদের সময় অসাবধনতাবশত ওই মহিলার হাতে লেগে গিয়েছে। ইচ্ছাকৃত ভাবে হাত ভাঙা হয়নি।” পুলিশ জানিয়েছে, “দুই পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”