নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ গতকাল ভারতের বিদেশসচীব বিক্রম মিশ্রির ঢাকা সফরের পর বাংলাদেশীদের জন্য ভারতের ভিসার সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে বলে সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার আশা করছে। বিক্রম মিশ্রি নিজেও বৈঠকে এই বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন বলে দাবী তদারকি সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের। এদিন বিদেশসচীবের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচীব মুহাম্মদ জসীম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। পরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সাথেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
তিনটি বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। তবে মূল নির্যাস উভয় পক্ষই সুসম্পর্ক চায়। বিক্রম মিশ্রি এবং মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকের পর অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে সাংবাদিকদের সাথে বৈঠকে জানান, “ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো মজবুত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আর বিক্রম মিশ্রি আশ্বস্ত করেছেন যে, বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য ভারতীয় ভিসার সংখ্যা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
মূলত, শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের সরকারের পতনের সময়ে বাংলাদেশে এক উত্তাল পরিস্থিতি তৈরী হয়। তখন সাময়িক ভাবে বাংলাদেশে ভারতীয় দূতাবাস থেকে ভিসা দেওয়া বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকারের পতনের এক সপ্তাহ পরেই ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাস থেকে আবার বাংলাদেশীদের ভিসা দেওয়ার কাজ সীমিত ভাবে শুরু হয়। ফলে বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসার জন্য অনেকে ভারতে আসছেন।
গত সেপ্টেম্বর মাসে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আপাতত বাংলাদেশীদের চিকিৎসার এবং জরুরী প্রয়োজনে ভিসা দেওয়া হচ্ছে। যখন বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তখন পূর্ণমাত্রায় কাজ শুরু হবে ও ভিসা প্রদানও স্বাভাবিক হবে।”