নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ওড়িশাঃ গতকাল মধ্যরাতেই ‘দানা’ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। তবে ক্রমে ‘দানা’ শক্তি বাড়াচ্ছে। গত সাত ঘণ্টায় উপকূলের দিকে আরো নব্বই ৯০ কিলোমিটার এগিয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, সাগরদ্বীপ থেকে মাত্র ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থান করছে। আর ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে এটি ২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর থেকে ক্রমে উত্তর-পশ্চিম দিকে সরছে। আজ রাতেরবেলা থেকে শুক্রবার সকালবেলা মধ্যে এটি স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। ওড়িশার ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যে ল্যান্ডফল হবে। স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় প্রতি ঘন্টা গতিবেগ ১০০ কিলোমিটার থেকে ১১০ কিলোমিটার থাকবে। আর কোনো কোনো সময় দমকা হাওয়ার গতি ১২০ কিলোমিটার হতে পারে। গতকাল রাতেরবেলা থেকেই ওড়িশার উপকূলবর্তী এবং উত্তরের জেলাগুলিতে দুর্যোগ শুরু হয়েছে। সমুদ্রও উত্তাল রয়েছে।
ইতিমধ্যে ধামারা বন্দরের যাবতীয় কাজ স্থগিত রাখা হয়েছে। আর কর্মীরাও বন্দর ছেড়েছেন। এছাড়া ওড়িশা প্রশাসন ওই অঞ্চলের পার্শ্ববর্তী অংশে উদ্ধারকারী দলকে মোতায়েন রেখেছে। উদ্ধারকারীদের ১৮২টি দলকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। ওড়িশার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক রাজ্যবাসীকে ভয় না পাওয়ার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি সতর্কতা অবলম্বনের কথা জানিয়েছেন। আর ইতিমধ্যেই ওই রাজ্যের উপকূলবর্তী অঞ্চল থেকে অন্তত দশ লক্ষ মানুষকে বিভিন্ন ত্রাণশিবির ও ফ্লাড সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে, গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন।