অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ আজ ধর্মতলায় জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশনের তৃতীয় দিনে অশান্তি। অভিযোগ ওঠে, ‘‘এদিন অনশনমঞ্চে বসবার জন্য যে চৌকি আনা হয়েছিল, সেগুলো পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে।’’ যা নিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে পুলিশের বচসা হয়। এরপর সন্ধ্যায় জুনিয়র চিকিৎসকরা বউবাজার থানার সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। শেষে থানার মূল গেটের সামনে বসে পড়েন। থানা চত্বর শ্লোগানে শ্লোগানে ভরে ওঠে।
মূলত, আর জি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে শনিবার রাতেরবেলা থেকে জুনিয়র চিকিৎসকরা দশ দফা দাবী আদায়ের জন্য ধর্মতলা চত্বরে ধর্নায় বসেছেন। এর আগে তারা বায়ো টয়লেট বসানো নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগীতার অভিযোগ তুলেছেন। এবার চৌকি নিয়ে অভিযোগের সূত্রপাত। অভিযোগ উঠেছে যে, ‘‘অনশনমঞ্চের জন্য কয়েকটি চৌকি আনা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ চৌকিবোঝাই রিকশা আটকে দেয়। মঞ্চ অবধি পৌঁছাতে দেয়নি। এছাড়া কয়েকটি প্লাস্টিকের চেয়ারও বাজেয়াপ্ত করে।’’
এদিকে, পুলিশ জানায়, ‘‘যে রাস্তা দিয়ে চৌকি আনা হচ্ছিল, সেখানে রিকশা চালানোর অনুমতি নেই।’’ এর জেরে পুলিশ ও জুনিয়র চিকিৎসকদের মধ্যে তুমুল বচসা শুরু হয়। আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের বলেন, ‘‘পুলিশ সবেতেই গায়ের জোর দেখাচ্ছে। নিজেরাই বায়ো টয়লেট তৈরী করেছেন। তবে এবার চৌকি আনতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আর এক জুনিয়র ডাক্তার কটাক্ষ করে জানালেন, ‘‘এর থেকে বাজে জিনিস বোধ হয় কোনোদিন কোনো দেশের বা অন্য কোনো রাজ্যের সরকার করেনি! এরা সেই রাস্তাটাও আজ দেখিয়ে দিল।’’