নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ গতকাল মধ্যরাতে দিল্লির জইতপুরে কালিন্দীকুঞ্জ থানা এলাকার নিমা হাসপাতালে দুষ্কৃতীদের হাতে চিকিৎসককে গুলি করে খুন করার ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মৃতের নাম জাভেদ আখতার।
হাসপাতালের কর্মীদের সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন চিকিৎসক জাভেদ আখতার হাসপাতালে নিজের চেম্বারে ছিলেন। রাতেরবেলা দিকে ১৬ বছর বয়সী দুই জন যুবক হাসপাতালে যান। এরপর তাদের মধ্যে এক জন যুবক হাসপাতালের কর্মীদের জানান, “পায়ের আঙুলের ক্ষতস্থান থেকে রক্ত পড়ছে। তাই ক্ষতস্থান পরিষ্কার করে নতুন করে ব্যান্ডেজ লাগানো প্রয়োজন।” সেই মতো হাসপাতালের কর্মীরা পায়ের ক্ষতস্থানে নতুন ব্যান্ডেজ লাগিয়ে দেন। কিন্তু তারপর তারা প্রেসক্রিপশন লাগবে বলে ওই চিকিৎসকের চেম্বারে যেতে চান। এরপর ওই যুবকরা চেম্বারে ঢোকার কিছুক্ষণ পরেই বাইরে থেকে গুলির শব্দ পাওয়া যায়।
তারপরেই মহম্মদ কামিল ও গজলা পরভিন নামে হাসপাতালের দুই নার্সিং কর্মী জাভেদ আখতারের চেম্বারে ঢুকে দেখেন, জাভেদ আখতারের মাথা রক্তে ভেসে যাচ্ছে। তবে ওই যুবকদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। মনে করা হচ্ছে, তারা মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালানোর পরেই চম্পট দেন। আর অল্প সময়ে অধিক রক্তপাতের কারণে ঘটনাস্থলেই ওই চিকিৎসকের মৃত্যু হয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশের প্রাথমিক ভাবে অনুমান, আগাম পরিকল্পনা করেই জাভেদ আখতারকে খুন করা হয়েছে। আপাতত হাসপাতালের ভিতরে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ওই যুবকদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।