রায়া দাসঃ কলকাতাঃ জট যেন কাটতেই চাইছে না। শনিবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জুনিয়র চিকিৎসকদের ধর্নামঞ্চে গিয়ে আলোচনায় বসার আহ্বান জানানোর পর থেকেই আশার আলো তৈরী হয়েছিল। তাই অনেকেই মনে করেছিলেন, শনিবারই হয়তো জট কেটে যাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আন্দোলনকারীরা সময় চান। এরপর মুখ্যসচীবের মেল পেয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দল কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছায়। কিন্তু তিন ঘণ্টা টানাপোড়েনের পর এই বৈঠক অথৈ জলে তলিয়ে গেল।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, পনেরো জনের কথা বলা হলেও জুনিয়র চিকিৎসকরা বত্রিশ জনের প্রতিনিধি দলকেই কালীঘাটের বাড়িতে প্রবেশের অনুমতি দেয়। তারপর দুপুরবেলা ৬টা ৩০ মিনিট নাগাদ জুনিয়র চিকিৎসকরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌঁছান। কিন্তু তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর বৈঠক ভেস্তে যায়। কারণ তারা লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবীতে অনড় ছিলেন। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির বাইরে এসে জুনিয়র চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে অনুরোধ করে জানান, ‘‘বৈঠক না করো অন্তত এক কাপ চা খেয়ে যাও। ভিজো না। তোমাদের অসুখ করলে আমার খারাপ লাগবে। আমরাও কেউ ভিডিয়ো রেকর্ডিং করব না।’’
এছাড়া এও বলেন, ‘‘আন্দোলনকারীরা যে চিঠি দিয়েছিল, তাতে সরাসরি সম্প্রচারের কথা ছিল না। যদি না-ই আসো তাহলে চিঠি দিলে কেন? মানুষের স্বার্থে এসো, কথা বলো। মিনিটস সই করে দেব, আমাদের তরফে এক জন সই করবে, তোমাদের তরফেও এক জন সই করবে। তোমরা যদি কথা বলতে না চাও, বৈঠক না করো, অন্তত এক বার ভিতরে এসে চা খেয়ে যাও।’’ কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবী, ‘‘প্রশাসনের শর্ত মেনে যখন তারা আলোচনায় বসতে চান, তখন তাদের জানানো হয়, ‘অনেক দেরী হয়ে গিয়েছে।’’ সুতরাং এদিনও শেষমেশ কোনো আলোচনা হল না। এরপর একে একে মুখ্যসচীব, স্বরাষ্ট্রসচীব নন্দিনী চক্রবর্তী ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ছাড়েন। তারপর জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দল আবারও সল্টলেকের ধর্নামঞ্চে ফিরে যান।