রায়া দাসঃ কলকাতাঃ আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় এবার সিবিআই (সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন) টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল সহ হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে তথ্য লোপাটের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। তবে আগেই সন্দীপ ঘোষকে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল।
সিবিআই সূত্রে খবর, তথ্যপ্রমাণ লোপাট ও জুনিয়র চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে দেরীতে এফআইআর রুজু করার অভিযোগ উঠেছে। আগামীকাল দু’জনকে আদালতে হাজির করানো হবে। আর সন্দীপ ঘোষকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে। এদিকে আগেই সঞ্জয় রায় নামে এক জন সিভিক ভলান্টিয়ার পুলিশের হাতে এই মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন। আর এখন সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন। অন্যদিকে, সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারীর খবর সল্টলেকের স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্নায় বসা চিকিৎসকদের কাছে পৌঁছতেই সকলে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। নানা রকম শ্লোগানও ওঠে।
কিন্তু আর জি কর কাণ্ডের ছত্রিশ দিনের মাথায় প্রাক্তন অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করার ঘটনায় পড়ুয়া এবং জুনিয়র চিকিৎসকরা জানান, ‘‘বিচারের দিকে এক পা এগোনো গেল। তবে ঘটনার পর পঁয়ত্রিশ দিন সময় লাগলো কেন সেটাও আমাদের প্রশ্ন?’’ অন্য দিকে, টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ নিজেকে অসুস্থ দাবী করে গত ৫ ই সেপ্টেম্বর কলকাতার একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। আজ দুপুরবেলা অভিজিৎ মণ্ডল সিবিআই দপ্তর সিজিও কমপ্লেক্সে যান। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদের সময় বক্তব্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি হতেই গ্রেফতার হন।
তথ্যপ্রমাণ লোপাটের সাথে সাথে অভিযোগের দায়ের, ময়নাতদন্ত সহ একাধিক ক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। আবার আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি সুপ্রিমকোর্টে এফআইআর গায়েব করার অভিযোগ তুলেছিলেন। উল্লেখ্য, হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তে গতকাল ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) সন্দীপ ঘোষের পৈতৃক বাড়ি ও তার ঘনিষ্ঠ ওষুধ ব্যবসায়ীদের বাড়ি-অফিসে তল্লাশি চালিয়েছে। ওই মামলায় আগামী ২৩ শে সেপ্টেম্বর অবধি সন্দীপ ঘোষের জেল হেফাজত হয়েছে। বর্তমানে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রয়েছেন।