অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ গত ৯ ই আগস্ট আর জি কর কাণ্ডের পর থেকে জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে রয়েছেন। ইতিমধ্যে একাধিক সরকারী হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুরও অভিযোগ উঠছে। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারী হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় মৃত ২৯ জন রোগীর পরিবারকে পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
জুনিয়র চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য ভবনের সামনে চার দিনেরও বেশী সময় ধরে অবস্থান বিক্ষোভে রয়েছেন। গতকাল রাজ্য সরকার জুনিয়র চিকিৎসকদের লাইভ স্ট্রিমিংয়ের শর্তে রাজি না হওয়ায় বৈঠকও অথৈ জলে ভেস্তে গেল। ফলে তারা নবান্ন থেকে ফিরে আবারও স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে অনড় থাকেন। আর সিনিয়র চিকিৎসকরাও এসে সাংবাদিক বৈঠক করে স্পষ্ট করে দেন, “জুনিয়র চিকিৎসকদের ওপর শাস্তিমূলক কোনো পদক্ষেপ হলে তাঁরাও পাল্টা কর্মবিরতিতে সামিল হবেন।”
এই পরিস্থিতি রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাপক সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে। এরইমধ্যেই একাধিক সরকারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। সরকারী হাসপাতালগুলোতে জরুরী পরিষেবা অব্যাহত থাকায় গত কয়েকদিনের একাধিক মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে তৃণমূলের তরফে নেটমাধ্যমে পোস্টও করা হচ্ছে।
এদিকে, আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবী, “রাজ্যে মোট ২৪৫ টি সরকারী হাসপাতাল। যার মধ্যে ২৬ টি মেডিকেল কলেজ। আর মোট জুনিয়র চিকিৎসক ৭ হাজার ৫০০ জনের বেশী নেই। পশ্চিমবঙ্গে রেজিস্ট্রার চিকিৎসকের সংখ্যা ৯৩ হাজার। অর্থাৎ মাত্র কয়েকটি মেডিকেল কলেজ, যেখানে সিনিয়র চিকিৎসকরা পরিষেবা দিচ্ছেন। তবে, শুধু জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতি করছেন বলে স্বাস্থ্য পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে কিভাবে?”